রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার রাতে অপহরন হওয়া এক ব্যাবসায়িকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরনের সাথে জড়িত মূল হোতা সহ ৪ জনকে আটক করা হয়। জানাযায়, গত বছরখানেক পূর্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মারিশ বুনিয়া এলাকার মৃত মৌলুবী মোহাম্মদ সফির ছেলে মো: আহম্মদ হোছন সাথে চাঁদপুরের উত্তর আলগী গ্রামের সোনা মিয়া গাজীর ছেলে মো: সফিকুর রহমান গাজীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক হয়। সে সম্পর্কের জের ধরে সফিকুর রহমান গাজী টেকনাফের ব্যবসায়ি মো: আহম্মদ হোছনকে চাঁদপুরে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলতে চাঁদপুর আসতে বলে। শুক্রবার রাতে বাসযোগে ব্যবসায়ি আহম্মদ হোছেন চাঁদপুরে আসলে সফিকুর রহমান গাজী তাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে না নিয়ে চাঁদপুর উত্তর আলগী গ্রামে তার বোন জামাতা মনির হোসেনের বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে। পরে ব্যবসায়ি মো: আহম্মদ হোছনের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৪লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে সহ নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয়। অপহরণকারী মোল হোতা সফিকুর রহমান গাজী ব্যবসায়িকে আটক করে বার বার টাকা আনার জন্য তাগিদ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে অপহরণকারী সফিক ব্যবসায়ি আহম্মদ হোছেনকে দেড় লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলে। এসময় শিশু জিল্লুর রহমানকে বাজারে নাছির পাঠানের বিকাশের দোকানে পাঠায় টাকা এসেছে কিনা খবর নেওয়ার জন্য। এদিকে ব্যবসায়ি মো: আহম্মদ হোছনকে অপহরণ করা হয়েছে খবর পেয়ে তার ভাই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে চাঁদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নের্তৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই সাইদুর রহমান ও মেশকে আলম তদন্ত কাজ শুরু করে। অবশেষে রবিবার গভির রাতে অপহরন হওয়া এক ব্যাবসায়ি মো: আহম্মদ হোছনকে উদ্ধার করেছে। সেই সাথে অপহরনের সাথে জড়িত মূল হোতা সফিকুর রহমান গাজী (৪৮), উত্তর ভিঙ্গোলিয়া গ্রামের বশির উল্লাহ পাঠানের ছেলে নাছির পাঠান (২৩),জামাল ঢালির ছেলে মনির ঢালি (৩৮) ও মনির হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমান (১৫( কে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মো: আহম্মদ হোছনের ভাই ছালামত উল্লাহ বাদি হয়ে একটি অপহরন মামলা দায়ের করে।