স্টাফ রিপোর্টার:॥ চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্সের ছাত্রের লাশ ডাকাতিয়া নদীতে থেকে পুলিশ উদ্ধার করার পর এ ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পরেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি হত্যা না আতœহত্যা এ নিয়ে জনমনে মৃশ্র প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্সের ছাত্র শুভগত সাহা চঞ্চলের ময়না তদন্ত করে পুলিশ তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। বিকেলে ইচলী শশ্বান খোলায় তার শেষকৃতি সম্পন্ন হয়। পুলিশ জানায়, ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা না আতœহত্যা তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে সে কিছু টাকা দেনা রয়েছে ও পারিবারিক কলহের কারনে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। রাত গভির হওয়ার পর হয়তো সে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্বহত্যা হরেছে নয়তো তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, সোমবার রাত দেড় টায় ঘর থেকে বেড়িয়ে লুঙ্গী পড়া অবস্থায় কালীবাড়ি এসে কিছু সময় অবস্থান করে। রাত ২ টায় পালের বাজার ব্রিজের গোড়ায় আসার পথে রজনীগন্ধা মার্কেটের স্বর্নের দোকানদার গৌতম শুভগতকে দেখতে পেয়ে কোথায় যাচ্ছে তা জিজ্ঞাসা করে। তার উত্তরে সে জানায় সব দোকান বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইলে টাকা রির্চাজ করার জন্য যাচ্ছি। তার পর থেকেই তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শুভগত সাহা চঞ্চলের নিকটতম বন্ধু জানায়, শুভগত পড়াশুনার পাশাপাশি অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর রিপ্রেসেনটিব হিসেবে চাকুরী করতো। সেখানে সে বিভিন্ন কারনে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেনা হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গত ৪/৫ দিন যাবত হিসাব মিলাতে সে মানুষিক দুঃশ্চিন্তায় ভোগছিলো। এছারা চেহারা সুন্দর হওয়ার তার সাথে সরকারী কলেজের অনেক মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
উল্লেখ্য, নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর ডাকাতিয়া নদী থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্সের ছাত্র শুভ সাহা চঞ্চল (২২) কে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানার এসআই নিজাম উদ্দিন খবর পেয়ে ঢালীর ঘাট এলাকার ডাকাতিয়া নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিখোঁজ হওয়া শহরের কোড়ালিয়া সাহা বাড়ির নারায়ন সাহার ছেলে শুভ সাহা চঞ্চল চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্সের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। গত ৩০ নভেম্বর সোমবার রাত আড়াই টায় অজ্ঞাত এক যুবকের ফোন পেয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে পরে। এসময় তার বাবাকে তাড়াতাড়ি চলে আসবে বলে দরজা খোলা রাখার জন্য বলে। রাত গভীর হতে থাকলে তার বাবা নারায়ন সাহা তার মোবাইলে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পায়। রাত পেরিয়ে গেলে পরের দিন আত্বিয় স্বজন ও তার বন্ধু বান্ধবদের কাছে অনেক খোজা খুজি করেও তার খোজ মেলেনি। পরে মঙ্গলবার তার পরিবারের লোকজন চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন ডায়রী নং ২৫ তারিখ ১/১২/২০১৫।