ছেঙ্গারচর পৌর সভায় মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে না। মেয়র পদে নির্বাচন না হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরাই পৌর এলাকা প্রচার-প্রচারণায় মাতিয়ে রেখেছে। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের চেয়ে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিল প্রার্থীরা প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে।
ছেঙ্গারচর পৌরসভায় সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৯’শ ২০ জন।
ছেঙ্গারচরবাজার, জোড়খালী, বারআনী, বালুরচর, শিকিরচর, শিকিরচর নয়াকান্দি, সুগন্ধি, কলাকান্দা ও পালালোকদী (১ম অংশ) গ্রাম নিয়ে সংরক্ষিত ১নং (সাধারণ ১,২,৩) ওয়ার্ড। মোট ভোটার ৮ হাজার ১শ’ ৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৮৬ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ২২ জন। প্রার্থীরা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর সেলিনা বেগম (আঙ্গুর), সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম (কেঁচি), জুলেখা বেগম (হারমোনিয়াম) ও হালিমা বেগম (মৌমাছি)।
আদুভিটি, গৈপুর, পালালোকদী (২য়অংশ), ঠাকুরচর (১মঅংশ), ঠাকুরচর (২য়অংশ), ওঠারচর, ঘনিয়ারপাড়, ছৈয়ালকান্দি, দুলালকান্দি, মালাইরকান্দি, দেওয়ানজী পাড়া, তালতলী, ছোট ঝিনাইয়া, বড় ঝিনাইয়া ও বড় মরাধোন গ্রাম নিয়ে সংরক্ষিত ২নং (সাধারণ ৪,৫,৬) ওয়ার্ড। মোট ভোটার ৭ হাজার ৯শ’ ৮৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৩৬ জন ও মহিলা ভোটার ৩ হাজার ৯শ’ ৫০ জন। প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর নাছিমা বেগম (হারমোনিয়াম), মিল্লাতুন নেছা মিলি (আঙ্গুর) ও জাকিয়া জান্নাত (কাঁচি)।
ছোট মরাধোন, জীবগাঁও, বাগবাড়ি, রুহিতারপাড়, ডাইয়াখোলা, ডেংগুরভিটি, পাঁচগাছিয়া, কেশাইরকান্দি, চাঁনকাবিলেরকান্দি, নিজ ছেঙ্গারচর, নাথু তহবিলদারকান্দি, ঢালীকান্দি, বলাইকান্দি, চাঁন সরদার কান্দি, মানিকের কান্দি, মোল্লা কান্দি ও মুল্লুকমাঝির কান্দি গ্রাম নিয়ে সংরক্ষিত ২নং (সাধারণ ৪,৫,৬) ওয়ার্ড। মোট ভোটার ৯ হাজার ৮শ’ ২৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪হাজার ৮শ’ ৮৭ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৯শ’ ৩৯ জন। প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শাহিনা আকতার (মৌমাছি) , শিউলী আক্তার (কাঁচি) ও তাছলিমা আক্তার (আঙ্গুর)।
ছেঙ্গারচর পৌরসভায় প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী প্রার্থীরা পুরুষের তুলনায় বেশি এগিয়ে। পোস্টার ও মাইকের প্রচারণা ছাড়াও নারীরা দলবেধেঁ ছুটে চলছে প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়ি। নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। নির্বাচিত হলে জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করবেন বলছেন। তবে এ পৌরসভার ভোটাররা প্রার্থীদের স্বজন ছাড়া কে কাকে ভোট দিবেন প্রকাশ করছেন না। ভোটাররা প্রার্থী এলে সবাইকে খুশি করে বিদায় করছেন। এ পৌরসভায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলোতে কে বিজয়ী হবেন তার জন্যে ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।