মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজার জনতা ব্যাংক লিঃ এর শাখা থেকে ভুয়া রেমিটেন্স ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে জালিয়াতি চক্র। সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। ভুয়া কাগজপত্র যাচাই বাছাই এবং কম্পিউটারে পোষ্টিং না করেই ব্যাংক কর্মকর্তা টাকা প্রদান করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে (ভূয়া কাগজপত্র অনুযায়ী), মোঃ কামাল, পিতা মোঃ জালাল, গ্রাম লুধুয়া নামে এক ব্যক্তি ভুয়া এনআইডির ফটোকপি ও তাতে ৯৫ হাজার ৬৪০ টাকার অংকের ট্রান্সফাস্টের পিন নম্বর ৩৩টিএফ০৭৬৪১৮৮৩৫ যুক্ত একটি ভুয়া কাগজ উপস্থাপন করেছেন। একই সাথে আশরাফ, পিতা লেহাজ উদ্দিন, গ্রাম লুধুয়া, ট্রান্সফাস্ট পিন নং ৩৩টিএফ০৭৬৪১৮৮২৭, ৯৯ হাজার ৯২০ টাকা। বিল্লাল, পিতা মাজেদ, গ্রাম লুধুয়া, ট্রান্সফাস্ট পিন নং ৩৩টিএফ০৭৬৪১৮৮২২, ৯৮ হাজার ৪০০ টাকা। ফারুক, পিতা কাদির, গ্রাম পশ্চিম দূর্গাপুর, ট্রান্সফাস্ট পিন নং ৩৩টিএফ০৭৬৪৮৮২০, ৯৭ হাজার ৬৪০ টাকা ও আবুল, পিতা জানে আলম, গ্রাম পশ্চিম দূর্গাপুর, ট্রান্সফাস্ট পিন নং ৩৩টিএফ০৭৬৪১৮৮৩০, ৯৫ হাজার ৬০০ টাকার ভুয়া রেমিটেন্স রিসিট ও ভুয়া এনআইডি ফটোকপি জমা দেন সিনিয়র অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলামের কাছে। তিনি যাচাই বাছাই না করেই ক্যাশে গিয়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা ওই পাঁচজন ব্যক্তিদের প্রদান করে দেন।
ঘটনার পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানা গেছে, সিনিয়র অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম কম্পিউটারে অনলাইনে পোষ্টিং না দিয়ে এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে ক্যাশে গিয়ে ওই ব্যক্তিদেরকে টাকা প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে এই কাগজপত্র কম্পিউটারে পোষ্টিং দেওয়ার জন্য ধরা খায় যে, উপস্থাপনকৃত রেমিটেন্স স্লিপ ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি জাল। ঘটনার পর চাঁদপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে টাকা গ্রহীতা ৫ জনকে দেখা গেলেও কেউ চিনতে পারেনি কেউ। ফুটেজে দেখা যায় ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে সুশান্ত থাকলেও ভিতরে গিয়ে ওই ৫ জনের হাতে টাকা প্রদান করেছেন সিনিয়র অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক সুজাতপুর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক অঞ্জন কুমার তহসীলদার বলেন, এটা ব্যাংকের ভিতরগত সমস্যা। এটা মিডিয়ায় না আসলে আমাদের উপকার হয়। তিনি এর বেশি কিছু বলতে নারাজ।