স্টাফ রিপোর্টারঃ
২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহার কুরবানী দেওয়া গরুর স্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের চাপাতি’র আঘাতে বাপ-ছেলে আহত। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ড জাফরাবাদ সিরাজ খান বাড়ীতে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ২০৫০ সদস্য বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় সার্জারি -০২ বেডে সিকিৎসারত ৭০বছরের বৃদ্ধা দুলাল খান জানান আমার ছোট ভাই মৃত টেলু খানের স্ত্রী সন্তানদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ঈদের দিন সকালে ঈদের জামায়াতে জাওয়ার সময় আমি দেখি আমার ঘরের দর্জার সামনে তাদের কোরবানীর জন্য রাখা গরুটি। আমি তাদেরকে তাদের ঘরের সামনে খালি জায়গা অথবা পাশে থাকা খালি জায়গায় গরুটি কোরবানি দিতে বলে ঈদের জামায়াতে চলে যাই। জামায়াত শেষে এসে দেখি তারা গরুটি আমার ঘরের দর্জার সামনে রেখে জবাই করেছে। এনিয়ে আমি গরু কাটা কসাইদের জিজ্ঞেস করলে কসাইরা বলে আমাদের যা বলেছে আমরা তাই করেছি। এ নিয়ে দু’চার কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাই মৃত টেলু খান এর ছোট ছেলে রাকিব খান দৌড়ে এসে চাপাতি দিয়ে আমার মাথা, কান ও নাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে করে রক্তাক্ত জখম হয়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এর পর আমি তেমন কিছু বলতে পারবো না। পড়ে দুলাল খানের ছেলে সার্জারী-০১ বেডে সিকিৎসাধীন রাজিব খান বলেন বাবার উপর আঘাত চলতে দেখে আমি এগিয়ে গেলে আমার মৃত চাচা টেলু খানের বড় ছেলে জিয়া খান আরেকটি চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় একাধিক আঘাত করলে আমিও আঘাতের যন্ত্রণা সইতে নাপেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। রাজিব খানের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার সাথি বলেন আমার স্বামী ও শশুরের চিৎকার শুনে আমি সহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওরা প্রকাশ্য এনিয়ে কোন মামলা মোকদ্দমা না করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর পর বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় আমরা তাদের হাসপাতালে আনি। এরপর ৯৯৯এ কল দিয়ে সব খুলে বলি। এরপর চাঁদপুর মডেল থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনা জেনে জায়। তিনি আরো বলেন আমার ছোট দুটি শিশু সন্তান ঈদের দিন (ঘটনার পর) থেকে তার নানা-নানির কাছে আছে আর আমি স্বামী ও শশুরকে নিয়ে হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছি। কথা বলার সময় তার দূ চোখে অশ্রু ঝরছিল।