নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
নিজ দলের দরবেশ পাপার সাথে পেরে না উঠে শেষ পর্যন্ত কারাগারের যেই রুমে দরবেশ পাপা ওয়ান ইলেভেনের সময় আটক ছিল সেই রুমে গিয়েই উঠলো রনি। সে দিন ৩য় মাত্রার অনুষ্ঠানে এগুলোই বলছিল সে।
তার আশে পাশে নাকি তারেক রহমানের বন্ধু মামুন সহ বাংলার সূর্য সন্তান, কলম যোদ্ধা মাহমুদুর রহমান এবং ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালা এটিএম আজহার এবং মীর কাসেম আলী সাহেব ছিল।
প্রথম দিনেই মামুন সাহেবের করুনা! তার দেয়া মশারি আর বালিশ-বেডে ঘুমালো রনি। এরপর আশেপাশে জেলখানা ভর্তি জামায়াত আর শিবির নেতাকর্মী। চারপাশ থেকে তাকে বেম্বো মিশ্রিত কথা শুনাচ্ছিল তাঁরা।
আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে দেখে মীর কাসেম আলী সাহেব নামাযে ইমামতী করছেন। নামাজ শেষে মুনাজাতে তিনি আল্লাহর রোনাজারি করে জালিম-অত্যাচারী হাছিনা সরকারের পতন চাইছিলেন। মুনাজাত ধরলেও রনি নাকি তখন তার হাত উল্টে দিয়েছিল(!)
এরপর এশারের নামাজে নাকি রনি বলছে, প্লিজ আমাকে মুনাজাত করাতে দিন আমি ভালো পারি। তখন গণতান্ত্রিক ভাবে তিনি বিজয়ী হয়ে মুনাজাত করেছেন আখিরাতের শান্তির জন্য।
এরপর রনি মাহমুদুর রহমান স্যারের সাথে কথা বলেছে। তিনি নাকি আচ্ছামত রনিকে ধমকালেন আর হাসিনা-আম্লিগকে বাঁশায়িত করলেন। ধমক-টমক খেয়ে সে জামায়াত নেতাদের সাথে কথা বলতে গেল…
তাদের কোন ফিলিংসই নাই তাদের ফাঁসি হতে পারে। তাঁরা বলছেন, আমাদের শতশত শিবির কর্মী আর জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে, বিশেষ করে আল্লামা সাঈদীর রায়ের পরে। তারা যেমন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী আমরাও। তাঁরা জীবন দিতে পারলে আমরা কেন না? আমরা মনে করি আমরাও তাদের মতো। আর আমরা মরে গেলেও কোন নেতৃত্যের ঘাটতি হবে না।
তারা আরো বলেন, মিশরে ৯০ বছর ধরে মুসলিম ব্রাদারহুড অত্যাচারিত হয়েছে, আজও তারা টিকে আছে তাদের সব নেতাদের ফাঁসি দেয়ার পরেও। তারা ক্ষমতায়ও এসেছে। আমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইসলামী আন্দোলন করছি, আমাদের ফাঁসির ভয় নেই।
এটাই হল রনির মুখে জামায়াত নেতাদের মুখের কথা। আমরা যতটা আবেগ নিয়ে কথাগুলো বলেছি রনি কিন্তু এগুলোকে অনেক তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেছে।
যারা মনে করেন রনি সৎ ব্যক্তি, তাদের বলবো, সৎ মানুষ আম্লিগের নেতা হতে পারে না। সৎ মানুষ আল্লামা সাঈদী আর আল্লামা শফীর মতো মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করে পত্রিকায় লিখতে পারে না। মিষ্টি কথায় ফেঁসে যাবে না। সত্যি কথার সাথে রঙ মিশানো থাকে… যাতে সাপ মরে লাঠি না ভাঙে। কিন্তু সে একবার লাঠি ভেঙে ফেলেছে…