মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর এলাকায় মেঘনার শাখা নদী গোমতি নদীতে ইউরিয়া সার বহনকারী এমভি সোনালী আঁশ নামে জাহাজে থাকা ৩ হাজার ২শ’ বস্তা ইউরিয়া সার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩২লাখ টাকা মূল্যের সার নষ্ট হওয়ায় মতলব উত্তরে এ মৌসূমে এ অঞ্চলে ইউরিয়া সারের সংকটে পড়বে বলে মনে করছে কৃষকরা। রোববার বিকের ৪টার দিকে জাহাজ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে সার বোঝাই জাহাজের ইঞ্জিনের পাশে পানি। জাহাজের ডেক খুলে দেখে জাহাজে থাকা ইউরিয়া সার ভিজে সকল সার নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সার ডিলাররা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা থেকে গত ৩২লাখ টাকা মূল্যের সার ডিলাররা বিক্রির জন্য কিনে। শনিবার আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা থেকে মতলব উত্তরের দিকে যাত্রা শুরু করে। রোববার বিকেলে উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কালিপুর বাজারের কাছে আসলে জাহাজ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে পানিতে ভিজে গেছে সার।
এমভি সোনালী আঁশ জাহাজের সারেং জানান, জাহাজের তলা ফেঁটে পানি ঢুকে। আর এ পানিতে সার নষ্ট হয়েছে। এ সংবাদ পেয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম মজুমদার জাহাজ পরিদর্শন করেছেন। সার নষ্ট হওয়ার মতলব উত্তরের কৃষকরা ইউরিয়া সার সংকটে পড়বে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলার কোন কৃষক সার সংকটে পড়বে না। আমাদের চাহিদারও বেশি সার মজুদ রয়েছে। তবে সার সংকট দেখা দিলে পাশের উপজেরা থেকে সার এনে এ অঞ্চলের কৃষককদের সারের চাহিদা পূরণ করা হবে।
এমবি সোনালী আঁশ জাহাজে থাকা ইউরিয়া সার নন্দলালপুর, কালিপুর বাজার, সটাকী বাজার, ষাটনল, ছেংগারচর, ফরাজীকান্দি ও এখলাছপুর ঘাটে নামার কথা ছিল। জাহাজটি কালিপুর বাজারের কাছে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
এদিকে এ সংবাদ পেয়ে সার ডিলাররা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবে ক্ষতিপূরণ নেয়ার জন্য বলে জানিয়েছেন সার ডিলাররা।