মুহাম্মদ আবুল কালাম:
হাজীগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে যেমন চলছে রাজনীতিকে কেন্দ্র মাঠ উত্তপ্ত তেমনি প্রতিনিয়ত বসছে জুয়ার আসর। জুয়া আর রাজনীতি যদিও এক নয়। কিন্তু রাজনীতির বেলায় জুয়াকে ও বাদ দেওয়া যায় না। আজ হয়তো নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত থাকলেও অন্যান্ন সময় খেলাধুলা নিয়ে ই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয় বেশি। আগে হাজীগঞ্জের রাজনীতির মাঠ যখন শীতল ছিল তখন জুয়ার আসর চললেও প্রশাসন তা বন্ধ করতে যথাযথ ব্যাবস্থা নিয়ে ও নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। এখন রাজনীতি দ্বন্দ নিয়ে প্রশাসন মোটামোটি ব্যাস্ত্ম, এ মুহুর্ত্তে কি জুয়া খেলা বন্ধ করা সম্ভব। জুয়া খেলাটাকে আনেকে সখ করে বেছে নেয়। তাও আবার দিনে, যারা দিনের বেলায় খেলেন, তা কেউ মেনে নিলেও তা যে সমাজের কাছে অপরাধ এটুকু অবিশাস করার মত কেউ নেই। তার পর দিনে যখন এ খেলাটি চলে তখন যে বিনিময় বা বাজী হয় না, তা নয়। তুষ্টু থেকেই জন্ম নেয় দুষ্ট এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বৃহত্তম অংশ নিয়ে, ঠিক জুয়া খেলাটি এ রকম। এ খেলাটি যখন হয় তখন অনেকেই সখকরে বসে যান তাদের পাশে। আর এই সখ কাইকে নিয়ে যায় অনেক উচ্চতায় আবার কাউকে ফকিরে। টাকা ছাড়া যখন খেলা হয় তখন এটিকে বলা টুয়ান্টি নাইন বা তাস। আর যখন টাকার বিনিময়ে খেলা হয় তখন এটিকে বলা হয় জুয়া খেলা। সচরাচর এখন আর কারো মুখেই তাস খেলা শুনা যায় না। সবার মুখে জুয়া খেলা। কথাটি বলার ও কারন আছে পথ দিয়ে যদি কেউ কলম হাতে নিয়ে চলে তাকে অনেকই শিক্ষিত লোক মনে করবে। আর কেই যদি হতে সিগারেট নিয়ে পথ চলে তাকে গাজা বলে আখ্যায়িত করবে। কারণ সিগারেট প্রকাশ্যে পান করার দায় জরিমানার আইন করা হয়েছে। সাধারনত যারা একথাটি মাথায় রাখেনা তাদের গাজা পান কারির সাথে তুলনা করলেও ভুল হবে না। সবাই জানে গাজা হলো একধরনের নেশা যা পান করলে ধ্যান ধারণা বা হুশ থাকে না বলে নেশা গ্রহণ কারিদের মুখ থেকে যানা যায়।হাজীগঞ্জে রাজনীতির দ্বন্দ্ব যখন দমাতে প্রশাসন মরিয়া তখন কিন্তু গাজার ব্যাবসা আর গাজা ওয়ালাদের পথ চলা ও ধুমছে চলছে। প্রশাসনকে তো আর দোষ দেওয়া যায় না। দোষ হলো এ সমাজের, যারা এ সমাজে অন্যায় করে এবং সমাজকে ধবংস করে। জুয়া খেলাটি আজ দাড়িয়েছে মারাত্নক ধরনের ব্যাধি হিসেবে। এ ধরনের অন্যায় কাজে পা দিয়ে অনেকে হচ্ছে সর্বসান্ত্ম, সারা দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিবারের ভরন পোষনের জন্য কামানো টাকা জুয়ায় খেলায় গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। কেউ সঙ্গে থাকা দামি জিনিস বা মোবাইল সম্বল টুকু ও খেলার মাঝে দিয়ে পাগল হয়ে বাড়ি ফিরছে। আর কত পরিবারে সন্ত্মানরা এতে যে আসক্ত হচ্ছে তা তো হিসাবেরই বাইরে। তাই যেখানেই হউক এ খেলাটাকে অন্ত্মত উঠতি বয়সের তরুণদের জন্যে হলেও সবারই উচিত এগিেেয় এসে তা প্রতিহত করা। যেখানেই খেলা হবে সেখান থেকেই তাদের বিতাড়িত করতে হবে। সাধারণত এই খেলাটি যারা খেলে তারা এলাকার মোটামুটি
গণ্যমান্য ব্যাক্তি বলে জানা যায়। তাই এটি বন্ধ করতে কেউ সাহস পায় না। কিন্তু অনেকেই জানেন যে খারাপ কাজের বিপক্ষ দাড়ালে খারাপ কাজটি যত বড় লোকই করুক না কেন তাকে এতে নত স্বিকার করতে হবে। আসলে সমাজের সচেতন কয়েক জনের পক্ষে এখন আর এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সম্ভব নয়। কারণ রাত-দিন যখন জুয়ার আসর বসছে তখন সাধারণ জনগণ কতটুকু আর প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করতে পারবে। তবে অন্যায় যত বড়ই হউক না কেন তা দমন করতে প্রশাসন ইচ্ছে করলে কয়েক দিন, কয়েক ঘন্টা ও কয়েক মিনিট সময় লাগবে, যা দেশের নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি। হাজীগঞ্জ শহর থেকে শুরু করে গুটি কয়েকটি গ্রাম ছাড়া এমন কোন স্থান নেই যেখানে জুয়ার আসর বসে না। আর এ মরণ ব্যাধির ছোবল-খেলাটি এ মুহুর্তে বন্ধ করতে না পারলে সমাজ ও পরিবারের জন্য ক্ষতি বয়ে আনার সম্বাবনা রয়েছে। তাই হাজীগঞ্জের উত্তপ্ত রাজনীতি দমনের পাশা-পাশি নেশার ব্যবসা ও জুয়া খেলা কে ধ্বংস করতেও প্রশাসনের আন্ত্মরিক তা এ মূহুর্তে প্রয়োজন।
সম্মানিত সদস্য- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, হাজীগনঞ্জ শাখা-চাঁদপুর।
সদস্য- হাজীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদ
e-mail- abulkalamp@gmail.com