কোন দলের না হয়ে নিরপেক্ষ বিষয়টি তুলে ধরবেন পত্রিকায়
—আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল
নৈরাজ্য বন্ধে প্রশাসন ব্যর্থ হলে, আওয়ামীলীগ কর্মীরাও ঘরে বসে থাকবে না — মো. ইউছুফ গাজী
বিএনপির সাথে থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত শিবির তান্ডব চালাচ্ছে — নাছির উদ্দিন আহমেদ
স্টা রিপোর্টার: ২৫ অক্টোবর থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ১৮দলীয় জোটের সকল নৈরাজ্যকর কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও অপরাধজনিত ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসকাব মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
সম্মেলন পরিচালনা করেন চাঁদপুর প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফ চৌধুরী। জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ গাজী, পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গণি পাটওয়ারী, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম।
এ সময় চাঁদপুর প্রেসকাবের সভাপতি শাহ্ মো. মাকছুদুল আলম, সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী শাহাদাত, জালাল চৌধুরী, সহ-সভাপতি আঃ রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জীবন, বিএম হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন, রহিম বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম শাহীন, কোষাধ্যক্ষ মির্জা জাকির, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলম পলাশ, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আজম, ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াছিন ইকরাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন জেলা প্রতিনিধি নেয়ামত হোসেন, দৈনিক চাঁদপুর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাকির হোসনে, প্রেসকাবের অন্যান্য সম্পাদকের মধ্যে আল-ইমরান শোভন, প্রেসকাব সদস্য শাহাদাত হোসেন শান্ত, মুনাওয়ার কানন, দৈনিক চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিজান লিটন, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ মাসুদ আলম, আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার কেএম মাসুদ, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের চীফ রিপোর্টার এইচ.এম. ইদ্রিস প্রমূখ।
জেলা আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আঃ মান্নান মিয়াজী, শহীদ উল্যাহ মাষ্টার, আহসান উল্যাহ আখন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, দপ্তর সম্পাদক সন্তোষ দাস, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, রনজিত কুমার রায়, আইনজীবী নেতা অ্যাড. আহসান হাবীব, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান ভুঁইয়া (কালু), যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবর, মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুর রহমান তৃপ্তি প্রমূখ।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বলেন, আজকে সারাদেশে ১৮দলীয় জোট তথা বিএনপি জামায়াত-শিবির যে ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাতে সাংবাদিকরাও নিরাপদ নয়। আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে দেশের মানুষ সঠিক বিষয়টি জানতে পারে। আপনারা কোন দলের না হয়ে নিরপেক্ষ বিষয়টিই তুলে ধরবেন। আমার প্রত্যাশা স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল হিসেবে আমাদের কথাগুলো জাতির কাছে তুলে ধরবেন। আমাদের কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি হলে তা আমাদের জানিয়ে দিবেন। চাঁদপুর শহরকে শান্তির শহর হিসেবে রাখার জন্য আমাদের পূর্বেও সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সহ অবস্থান ছিলো। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।
ওসমান গণি পাটওয়ারী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার যে তান্ডব চালিয়েছে, তা আপনাদের মনে আছে। তাদের ক্ষমতা শেষ হওয়ার পর ২বছর গণতন্ত্র হুমকির মুখে ছিলো। ওই সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তারা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। চাঁদপুর শান্তির শহর। জোটের এ তান্ডব চাঁদপুরের মানুষ এখন আতংকে। বিরোধীদল থাকতে আমরাও হরতাল করেছি। কিন্তু রিক্সা চালকদের উপর অত্যাচার করিনি। রঘুনাথপুর যুবলীগ নেতা নজরুলের ছেলেক তারা মাথায় ও লিঙ্গে কুপিয়ে আহত করেছে। তাকে আমরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করেছি। এমন বর্বরচিত ঘটনা কোন মানুষ করতে পারে না। তারা এখন আবার পুনরায় ওই পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছে। আমি চাঁদপুরে রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ করে পুনরায় সহ অবস্থান করার কামনা করছি।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ গাজী বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী দ্বিমূখী আচরণ করছেন। একবার তিনি বলছেন এ সরকার অবৈধ। আবার তিনি সংলাপে বসতে চাচ্ছেন। দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমরা প্রয়োজনে জীবন দেব। আওয়মাীলীগ মাঠে ময়দানে আন্দোলন সংগ্রাম করে অভ্যস্ত। পুরাণ বাজারে যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করতে গিয়েছে। আরজু পিলারে বাড়ি খেয়ে মারা গেছে। তারা এখন শ্রমিককে ছাত্রদল যুবদল কর্মী দাবী করছে। অরাজকতা সৃষ্টি না করে যদি নির্বাচনে জগণ আপানাদের রায় দেয় ক্ষমতায় যাবেন। কিন্তু দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে দুই ভাগে বিভক্ত করবেন না। ভাংচুর নৈরাজ্য আমরা বরদাস্ত করবো না। এসব করলে আমরাও ঘরে বসে থাকবো না। প্রশাসন ব্যর্থ হলে আওয়ামীলীগের কর্মীরা বসে থাকবে না মাঠে নামবে। আপনারা আন্দোলন করুন। তবে সন্ত্রাস করবে না। আপনাদের পিছনে জামাত আছে পায়দা নেয়ার জন্য। পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, চাঁদপুরে রাজনৈতিক সহ অবস্থান এটা পুরনো। এটা নষ্ট করার জন্য এবং দুই মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুন্ন করতে যুদ্ধাপরীদের বাঁচাতে এবং নিজেদের সুবিধা আদায় করতে বিএনপির মধ্য থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামাত-শিবির এ তান্ডব চালাচ্ছে। আমরা বিএনপিকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিতে চাই। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে বিরোধীদল তাদের আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারে। কিন্তু নৈরাজ্য সৃষ্টি করারতো প্রয়োজন নেই। পুরান বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমরাতো সেখানে কখনো হরতাল করেনি। জোটের নেতা-কর্মীরা শহরের যে সকল নিরাপদ স্থান অর্থাৎ হাসপাতাল, পত্রিকা অফিস ইত্যাদিতে হামলা করেছে। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে তারা তাদের অসুস্থ্য সাংগঠনিক অবস্থাকে শক্তি প্রদর্শনের জন্য অশান্ত অবস্থা সৃষ্টি করছে। আমরা গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। রাজনীতি করি মানুষের জান মাল নিরাপত্তার জন্য। আমাদের কোন ভুলভ্রান্তি হলে ধরিয়ে দিবেন এবং এ ধরনের তান্ডবলিলা থেকে আমাদের সতর্ক করবেন।
লিখিত বক্তব্যের সার সংক্ষেপে উল্লেখ্য করা হয়, গত ২৫ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালে ১৮দলীয় জোট তথা বিএনপি জামাত, শিবির কর্তৃক চাঁদপুর জেলা শহরে ও বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপ, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়, বাসা বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পত্রিকার কার্যালয়, ল-চেম্বার, পত্রিকার গাড়ী ভাংচুর অগ্নি সংযোগ, রেল লাইনে আগুন, নাশকতা ও ধ্বাংসাত্মক কার্যকলাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করতে চাই এবং এই নৈরাজ্যকর অপরাধ জনক ঘটনায় জড়িত অপাধীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তিদানের জোর দাবী জানান সাংবিদক সম্মেলনে।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।