অভিজিত রায় ॥
ইদানিং আবোরো চাঁদপুর শহরে সন্ধ্যার পরে শুরু হয়েছে অস্ত্রের মোহড়া। সে ধারাবাহিকতায় গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যার পর হঠাৎ শহরের কালী বাড়ীর ব্যাবসায়িরা শুনতে পায় সড়কের উপর দেশীয় অস্ত্রের জণঝনানির শব্দ। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই শুরু হয় অতর্কিত হামলা। বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় হামলাকারিরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদেও প্রাণ নাশের চেষ্টা ও তার ব্যাক্তিগত গাড়ী সহ ৮-১০ টি ছোট বড় গণপরিবহন ও হকার্স মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান পাটের সাটার ব্যাপক ভাংচুর করে। অতর্কিত হামলার কারনে পৌরবাসির মধ্যে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ সন্দেহভাজন ৪ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ুম এ জানান, শুনেছি শহরের ট্রাক রোড ও কোড়ালিয়া এলাকার ২ গ্রুফের মধ্যে সিনিয়র-জুণিয়র নিয়ে হট্রগোল সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুত্র ধরেই এ হামলা চলছে। তবে হামলা কারিরা যেই হোক, তাদের খুজে বের করে আটক করার জন্য কার্যক্রম চলছে। এ ঘটনায় গতকাল চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও কার্যালয়ের সামনে থেকে হামলার শিকার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াদুদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি করে পূণারায় জেলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও সামনে এসে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদওে কমান্ডার এম এ ওয়াদুদেও সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধেও মাধ্যমে এ দেশকে স্বাধিন করেছি। এ স্বাধিন দেশে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কার্য চলাকালে আমরা মুক্তিযুদ্ধা ও স্¦াধিনতা স্বপক্ষের সকল শ্রেণীর মানুষ চাঁদপুরে ১ মাস যাবৎ গণ জাগরন মঞ্চ করে আন্দোলন করেছি। চাঁদপুর শহরের কালী বাঢ়ী মোড় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এখানে প্রতিনিয়ত কতিপয় জামায়াত শিবির পন্ধিরা অস্ত্রের মোহড়া চালিয়ে যানবাহন ভাংচুর করছে। গত ১৭ নভেম্বর রাতে মুখোশধারি জামায়াত শিবির কর্মীরা অতর্কিতভাবে দেশিয় অস্ত্র মোহড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদেও প্রাণ নাশের চেষ্টা ও তার ব্যাক্তিগত গাড়ী সহ ৮-১০ টি ছোট বড় গণপরিবহন ও হকার্স মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকান পাটের সাটার ব্যাপক ভাংচুর করে। ৭১‘রের পরাজিত শক্তি মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। তারা বাংলাল মাটিতে আবারো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধারা যদি একত্রিত হই তাহলে এদেও প্রতিহত করতে পারবো। এ সময় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদও থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবুল কালাম চিশতী, মতলব উত্তর উপজেলা কমান্ড্ও মুজাম্মেল হক, হাইমচর উপজেলা কমান্ডার সন্তুষ চন্দ্র মজুমদার, কচুয়া উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার জাবেদ মিয়া ও হাজী গঞ্জ উপজেলা কমান্ডার এ কে মজিবুর রহমান প্রমুখ।