শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর জেলার বিএডিসির বীজ গুদামের নাইট গার্ড নূর নবী চৌধুরী ১ যুগ যাবত কর্মস্থলে ডিউটি না করে মাস শেষে বেতন উত্তোলনসহ সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। কোন অজ্ঞাত খুটির জোরে সে সরকারী একটি গুরুত্বপূর্ন শাখায় ডিউটি না করে বেতন সহ নানা সরকারী সুযোগ গ্রহন করে বহাল তবিয়তে রয়েছে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। দেশে যখন শিক্ষিত যুবকরা বেকারত্বের অভিশাপে ভুগছে তখন নূর নবীর মতো লোকরা সরকারী প্রতিষ্ঠানে আশিন থেকে ডিউটি না করে কিভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে তা জানতে বুধবার বিকেল ৪টায় শহরের তালতলায় জেলা বিএডিসির বীজ গুদামের অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস কক্ষটি খোলা রয়েছে কিন্তু ভিতরে দাড়োয়ান কিংবা অফিসার কেউ নেই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষ করার পর বাহির থেকে এক কর্মকর্তা আসেন। এসময় তার কাছ থেকে নাইট গার্ড নূর নবী চৌধুরী আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন তার দেখা নেই। নোয়াখালি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মাউতোলা গ্রামে নাইট গার্ড নূর নবী চৌধুরী স্বপরিবারে থাকে। শুধুমাত্র বেতন উত্তোলনের সময় চাঁদপুর আসেন। এসময় জেলা বীজ গুদাম অফিসের দায়িত্বরত সিনিয়র সহকারী পরিচালক খলিলুর রহমানের কক্ষটি তালা ঝুলানো দেখা যায়। এ ঘটনা সর্ম্পকে তার মুঠো ফোনে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া অভিযুক্ত নাইট গার্ড নূর নবী চৌধুরীকে না পেয়ে তার মোবাইল নাম্বারটি জানতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা তার নাম্বার সংরক্ষন নেই বলে জানায়। জানা যায়, নোয়াখালি জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মাউতোলা গ্রামে মৃত আজিজুল্লার ছেলে নূর নবী চৌধুরী (৪৫) ৮ম শ্রেনীর ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়র কর্পোরেশন (বিএডিসি) নাইট গার্ডের চাকুরী নেয়। ২০০৪ সালের ১৫ মে নূর নবী চৌধুরী চাঁদপুর শহরের তালতলার বিএডিসির বীজ গুদামে নাইট গার্ড পদে যোগদান করেন। অদৃশ্য শক্তির জোরে দীর্ঘ ১২ বছর নাইট গার্ডের চাকুরী নিয়ে ডিউটি না করে মাস শেষে বেতন সহ সকল সরকারী সুয়োগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। বিএডিসির অনান্য কর্মকর্তারা তার এসকল অনিয়ম জেনেও ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। তার ভয়ে কর্মকর্তারা সব সময় ভীতস্থ থাকে। এ ব্যপারে সংশ্লীষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোছরে এনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন অনান্য কর্মকর্তারা।