টনসিলের সমস্যা প্রকটভাবে দেখা যায়। এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। সাধারণত চার থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা টনসিলে বেশি আক্রান্ত হয়। টনসিলে সমস্যার নানা দিক নিয়ে আজকের বিভিন্ন প্রশ্ন আর উত্তর দিয়েছেন হোমিওপ্যাথ কনসালটেন্ট ডাঃ এস.জামান পলাশ
প্রশ্ন : টনসিলের রোগ বলতে কি বুঝায়? টনসিল কেন হয়?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: টনসিল সাধারণত গলার দুপাশে থাকে। এটা এক ধরনের লিম্ফয়েড টিস্যু। এই টিস্যু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় বা প্রটেকশন দেয়। অর্থাৎ টনসিল রোগ প্রতিরোধ করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টনসিলে ইনফেকশন বেশি হয়। টনসিলের ইনফেকশন যখন হয় তখন এটাকে টনসিলাইটিস বলে থাকি।
প্রশ্ন : টনসিলাইটিস বা টনসিল ইনফেকশন কয় ধরনের?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: টনসিলাইটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটা হলো তীব্র বা একিউট। আর অন্যটি হলো দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক টনসিলাইটিস।
প্রশ্ন : তীব্র টনসিলাইটিসে কি কি উপসর্গ হতে পারে?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: তীব্র বা একিউট টনসিলাইটিস যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে তার তীব্র গলা ব্যথা হবে, খেতে পারবে না, খেতে গেলে অনেক ব্যথা হবে, জ্বর হবে, মাথা ব্যথা হবে। এমনকি তাকে অসুস্থ রোগীর মতো শুয়ে থাকতে হবে। স্কুলগামী ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতে পারবে না। বড়দের ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
প্রশ্ন : তীব্র বা একিউট টনসিলাইটিস থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় কি?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: তীব্র বা একিউট টনসিলাইটিস সাধারণত পানি থেকে হয়। পানি থেকে ব্যাকটেরিয়া এবং খুব ঠান্ডা থেকে হয়। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে, আইসক্রিম খেলে, খুব বেশি ঠান্ডা লাগালে এটি হয়। এছাড়া ভাইরাসজনিত কারণেও হয়। টনসিলের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া মূলত দায়ী। তাই যে সকল ব্যাকটেরিয়ার কথা বলেছি, সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে যদি দূরে থাকা যায় তাহলে টনসিলাইটিস হবে না। আর কিন্তু এগুলোতে যদি ইম্পোজড হয়ে যাই, তাহলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সবারই যে হয় তা কিন্তু নয়। দেখা যায়, প্রতি ৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের টনসিলের ইনফেকশন হতে পারে।
প্রশ্ন : তীব্র টনসিলাইটিসের চিকিৎসা কি?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: তীব্র টনসিলাইটিসের চিকিৎসা দুই রকমের। একটি হলো মেডিকেল অর্থাৎ সাধারণ। আর অন্যটি হচ্ছে ওষুধপত্র দিয়ে। মেডিকেল অর্থাৎ সাধারণ চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্কুলে যাওয়া যাবে না। বড়দের ক্ষেত্রে অফিসে বা দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারবে না। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে যতদিন সুস্থ না হবে। মুখের হাইজিন (মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য) বা ওরাল হাইজিন যেটাকে বলি। ওটা মেইনটেন করতে হবে। এটা আমরা মাউথ ওয়াশ বলি। মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলি করতে হবে। নরমাল স্যালাইন (ওয়াটার গার্গেল) গরম পানি দিয়ে গড়গড়া কুলি করা। আজকাল বাজারে পাওয়া যায় ওরোক্লিন। ওরোক্লিন দিয়ে গড়গড়া কুলি করতে পারেন। তাহলে হাইজিনটা মেইনটেন হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে খুবই দ্রুত এবং সল্প সময়ের মধ্যে ব্যাথা বেদনা দুর হয়ে যাবে এবং ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যাবে ও রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেবে। এটাই হলো আসল চিকিৎসা। পরবর্তীতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।কোনো প্রকার অপারেশান করতে হবে না।
প্রশ্ন : একজন রোগীর একবার হলে এটি কি আবার হতে পারে?
ডাঃ এস.জামান পলাশ: হ্যাঁ অবশ্যই। আবার হতে পারে যদি সে একই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এক্সপোজড হয়।
================================
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল,
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 //01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
★★ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com ★★
★★ব্লগ– https://zamanhomeo.com/blog ★★
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall