মিজানুর রহমান রানা
ডাকাতিয়া নদীর ৫নং খেয়াঘাট এলাকায় বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীসহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে মাঝিসহ ৪ যাত্রী। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে।
জানা যায়, গতকাল দুপুর ২টায় ৫নং খেয়াঘাট থেকে ছোট যাত্রীবাহী একটি নৌকা পুরাণবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মাঝ নদীতে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বলগেট যাত্রীবাহী নৌকার মাঝ বরাবর উঠিয়ে দেয়। ফলে নৌকাটি সাথে সাথেই উল্টে ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আশিক বিন রহিম (২৭), চাঁদপুর সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র সুদীপ (২১), চাঁদপুর মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের এক ছাত্রী (১৮) ও ১০/১২ বছরের এক স্কুল ছাত্র এবং নৌকার মাঝি তাফাজ্জল রাড়ী (৫৫) ডাকাতিয়া নদীতে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। পরে তাদেরকে স্থানীয় দুটি নৌকার মাঝিরা উদ্ধার করতে সম হয়। আহত দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আশিক বিন রহিম জানান, আমরা নৌকায় করে পুরাণবাজার যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা বিপদগামী একটি বালুবাহী বলগেট আমাদের নৌকার ওপর উঠিয়ে দেয়। সে আরো জানায়, বালুবাহী বলগেটটি কোনো প্রকার সিগন্যাল বা হুইসেল না বাজিয়ে বেখেয়ালীভাবে আসায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে চলাচলরত বালুবাহী বলগেটগুলো সব সময় বেপরোয়াভাবে চলাচল করে থাকে। এদের অনেকগুলোরই কোনো হুইসেল, সিগনাল লাইট ইত্যাদি নেই। এ বিষয়ে কর্তৃপরেও কোনো নজরদারী আছে বলে মনে হয় না। ফলে ক’দিন পর পরই এ ধরনের দুর্ঘটনা নদীতে ঘটছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়।
এ বিষয়ে কার্গে ট্রলার শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তছলিম হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এবং সাথে সাথে বলগেটটি আটক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জানতে পেরেছি বলগেটটি দ্রুত ডাকাতিয়া নদী দিয়ে হাজীগঞ্জ এলাকার দিকে চলে গেছে।