ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডাঃ আহম্মদ শরীফ নাক, কান ও গলা বিভাগের কনশালটেন্ট না হয়ে ভিজিডিং কার্ড এবং প্রেসক্রিপশানে ভুয়া পদবী দিয়ে প্রতারনার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হয়ে রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে তার প্রাইভেট চেম্বার হিতৈষী এক্স-রে ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। কোড়ালিয়ার তাজউদ্দিন গাজী তার আড়াই বছরের মেয়ে তানজিনকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরাকারী জেনারেল হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ডাক্তার আহম্মদ শরীফের কাছে নিয়ে আসে। আহম্মদ শরীফ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে তার বাবা তাজউদ্দিন গাজীর হাতে ভিজিডিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে হিতৈষী এক্স-রে ক্লিনিকে যেতে বলেন। গত ৫ আগস্ট শিশুটির বাবা তার প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে নাক, কান ও গলার সমস্যার চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যায়। ডাক্তার আহম্মদ শিশুটিকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার কারনে শিশু তানজিনের চোঁখ, গলা ও কান ফুলে যায়। পরে ১১ আগস্ট আবারো ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে দেখায়। তাতেও কোন ফল না পাওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় তাজউদ্দিন গাজী তার মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায়। এসময় ডাক্তার আহম্মদ শরীফ শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। এনিয়ে শিশুটির বাবার সাথে ডাক্তার বাক বিতন্ডা হলে ডাক্তার আহম্মদ শরীফ অশোভন আচরণ করেন। এসময় কয়েকজন সাংবাদিক হাসপাতালে হৈ চৈর শব্দ শুনে আহম্মদ শরীফের কক্ষে গিয়ে ঘটনা জানতে চায়। আহম্মদ শরীফ সাংবাদিকদের সাথেও অশোভন আচরণ করে। এব্যাপারে শিশুটির বাবা তাজউদ্দিন গাজী জানান, ডাঃ আহম্মদ নাক, কান ও গলা বিভাগের কনসালটেন্ট না হয়েও রোগীদের সাথে প্রতারণা করে তার প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন টেস্ট করানোর কথা বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। শিশুটি হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার কথামত চেম্বারের নিয়ে গেলে ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থা গুরুতর হয়ে পরে। এব্যাপারে হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডাক্তার জানায়, ডাক্তার আহম্মদ শরীফ নাক, কান ও গলা বিভাগের কনসালটেন্ট না হয়ে সে পদবী ব্যবহার করে প্রতারণা করছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।