ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রযুক্তি আমাদের যেমন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, অনেক সময় সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। সেদিক থেকে নিরাপত্তার দিকটা আমাদের আরও নতুন ভাবে চিন্তা করতে হবে। নিরাপত্তার দিকটাতেও খুব বেশি নজর দিতে হবে এখন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) গণভবনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর তৃতীয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা প্রতিদিনই বাড়তে থাকবে। প্রতিদিনই কিন্তু নতুন নতুন চিন্তা আসবে। আমি এখন হয়তো ভাবছি এটা বোধহয় প্রযোজ্য, কিন্তু সেটা সামনে আরও যাবে। আমাদের সব সময় ওইভাবে মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এটা সব ক্ষেত্রে, একেবারে ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই এটা আমাদের ভাবতে হবে এবং আরও (সতর্ক হতে হবে)।
এসময় গবেষণা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে, এজন্য গবেষণার ওপরও আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের গবেষণা সবসময় দরকার। গবেষণা করতে হবে। আমরাও যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। বাংলাদেশ সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, সেটাই আমি চাই।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো কেন, আমাদের দেশের মানুষের মেধা আছে। সেটা বিকাশের সুযোগ করে দিলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।
যুব সমাজকে দক্ষ করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। ইয়াং জেনারেশনকে তৈরি করতে হবে। কারণ আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলছি শুধু এ কথা চিন্তা করা নয়; বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের তরুণ সমাজকে আরও বেশি উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া, ট্রেনিং দেওয়া বা তাদের সেভাবে বা তাদের মনমানসিকতাও গড়ে তোলা সেটাই আমাদের করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আমাদের তরুণ সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি। যে কারণে আমরা যদি তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি- শুধু এই প্রজন্মকে না, সামনের প্রজন্মকেও আমরা যেন উপযুক্ত গড়তে পারি। তাতে বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হবে। একই সঙ্গে আমাদের শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য, অর্থনীতি সব দিক থেকেই আমরা এগোতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।
‘ব্রেন ড্রেন’ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা বিষয় অনেকে বলেন আমাদের মেধা চলে যাচ্ছে, এটা নিয়ে আমি খুব বেশি চিন্তা করি না। কারণ একটা সময় যারা যায় হয়তো এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাইরে যায়, টাকা-পয়সা কামাই করে। আবার অনেকেই বাইরে যারা পড়াশোনা করছে, অনেকেই কিন্তু দেশে ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেকে, নিউ জেনারেশন তারা কিন্তু চলে আসছে। এসে কাজ করছে। কারণ আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ফলেই কিন্তু কাজগুলো সহজ হয়ে গেছে। যে কারণে তারা এখন দেখে যে বাংলাদেশে বসেও তারা নিজেদের কাজগুলো ভালোভাবে করতে পারছে।
বাংলাদেশ কিন্তু এখন একটা আকর্ষণীয় স্থান। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের গদবাধা পুরোনো কথা আর বলার দরকার নেই- যে ব্রেন ড্রেন…। আমাদের তো লোকের অভাব নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ করবে এবং আসবে। বরং বাইরে থেকে বাংলাদেশের পজিশন এখন অনেক দিক থেকে ভালো। … অনেক ভালো অবস্থায় আমরা আছি- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।