শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছে। ঘাতকের দলের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর বংশকে নির্বংশ করা। খুনিচক্র শুধু জীবিত বঙ্গবন্ধুকে নয়, বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহকে ভয় পেয়েছিল। সে কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মরদেহ দাফন করে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘১৫ আগস্ট শোক থেকে শক্তি : বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা চিন্তা ও আগামীর সোনার বাংলা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে বৈশ্বিক মহামারিতে শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী এ ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এতে ছাত্র-ছাত্রীরা পাঠ্যক্রমে ফিরে এসেছে এবং সেশনজট বৃদ্ধির আশঙ্কা দূরীভূত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাঙালি জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে জাতিকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আগলে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী হারানো সম্পদ থেকে শক্তি সঞ্চার করছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ। স্মারক বক্তৃতার এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।