ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করেছে বিতরণ কম্পানিগুলো। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (ডিপিডিসি) লোড শেডিংয়ের শিডিউলে এমনটাই দেখা গেছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকাশ দেওয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় আমাদের বাধ্য হয়েই এখন পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। কারণ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।
তবে বেশির ভাগ এলাকায় তিন-চার ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে। অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ে মানুষের কষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি, তার পরও আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বিতরণ এলাকায় আজ চাহিদা ছিল ১৭০০ মেগাওয়াট। তার মধ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৫০০-৫২৫ মেগাওয়াট। ’
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাওসার আমীর আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগে শিডিউল অনুযায়ী কিছু এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং দেওয়া হলেও দুই দিন ধরে শিডিউলের চেয়ে কম লোড শেডিং দেওয়া হচ্ছে। কারণ দুই দিন ধরে আমাদের বিদ্যুতের ঘাটতি কিছুটা কমেছে। আজ আমাদের ঘাটতি ছিল ২৩০ মেগাওয়াট। যা কিছুদিন আগে ছিল ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি। ’
জ্বালানি সাশ্রয়ের নামে গত ১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে সরকারঘোষিত শুরু হওয়ায় লোড শেডিংয়ের সূচিভিত্তিক কর্মসূচির তিন মাস শেষ হয়েছে। পরিস্থিতির এখনো উন্নতি নেই। এখনো দেশজুড়ে অতিমাত্রায় লোড শেডিংয়ের ফলে গ্রাহকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। গ্রাহকরা বলছে, লোড শেডিং শুরুর সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সেপ্টেম্বর থেকে কেটে যাবে। ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বর মাস চলে গেছে। পরিস্থিতি স্বভাবিক না হয়ে উল্টো আবার স্বরূপে ফিরছে লোড শেডিং। এতে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে গ্রাহকরা।
সম্প্রতি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘নভেম্বরের আগে লোড শেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই। ’ তিনি বলেন, ‘লোডের কারণে আমরা দিনের বেলা কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখছি। আবার দিনে যেগুলো চালাচ্ছি সেগুলো রাতে বন্ধ রাখছি। এ জন্য লোড শেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে। আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবর থেকে কোনো লোড শেডিংই থাকবে না। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারলাম না। কারণ আমরা গ্যাস আনতে পারিনি। ’