ঢাকা শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আমরিন নুর (১৬) লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাত পৌনে ৮টায় ষাটনল নামক স্থানে। পিতার নাম মুক্তিএেডভোকেট মীর আমিনুর রশিদ। এ লঞ্চে আমিও একজন যাত্রী হিসেবে ছিলাম। ঘটনাটি ঘটার পর মেয়েটি রেখে যাওয়া ব্যাগ থেকে তার বাবার মোবইল নাম্বারে যোগাযোগ করে সংবাদটি পৌঁছাই। লঞ্চে যাত্রীদের ও কর্তৃপক্ষের আলাপকালে জানাযায়, ঢাকা ক্যান্টেম্যান্ট কলেজের ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী আমরিন নুর গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী এমভি সোনারতরী-২ লঞ্চে উঠে চাঁদপুরে আসার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে চাঁদপুর নৌ-সীমানার মতলব ষাটনল নামক স্থানে লঞ্চটি আসলে আমরিন নুর তার সাথে থাকা ব্যাগটি রেখে রাত প্রায় পৌনে ৮টায় লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে লঞ্চটি থামিয়ে ওই এলাকায় প্রায় দেড় ঘন্টা ফোকাস লাইটের মাধ্যমে ব্যাপক খোঁজা খুজি করে তাকে জীবীত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারিনি। লঞ্চযাত্রী সজিব ভুঁইয়া, জীবন, রেহানা বেগম জানায়, মেয়েটি ঢাকা থেকে লঞ্চটি ছাড়ার পর লঞ্চে ঘুরে ঘুরে কান্না কাটি করছিলো। এক পর্যায়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে সে বাসায় তার মায়ের সাথে বাক বিতন্ডা হয়। দুপুরে সে অভিমান করে বাসা থেকে চলে আসে। তার লঞ্চে ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ একটি বইয়ের ভিতর লিখা থেকে তার পিতার নাম ও মোবাইল নম্বর পায়। এছাড়া ওই কাগজটির মধ্যে বিভিন্ন লেখা দেখে বুঝা যায় মায়ের সাথেই তার অভিমান। তার অবস্থান ঢাকা ক্যান্টেনম্যান্ট এলাকা। তার পিতার সাথে মুঠোফুনে আলাপ কালে জানাগেছে, তিনি এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় ডায়েরী করবেন বলে জানিয়েছেন। তার মেয়ের এই ঘটনার জন্য তার স্ত্রী দায়ী বলে দাবী করেন। আমার মেয়েটা অনেক আদরের ছিল। আমি হত বিম্বল কেন সে এ কাজটি করলো বুঝে ওঠছি না।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।