মনিরুল ইসলাম মনির: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না ১৮ দল। ভিন্ন চিন্তা ও সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এ দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ না। এ দেশের লোকজন অসম্প্রদায়িক অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের- সরকার এ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সংবিধানে আলাহর ওপর বিশ্বাসের ধারা তুলে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে এসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। সংবিধান পরিবর্তন করে সরকার দলীয় চিন্তা-ভাবনা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোকে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উলেখ করে তিনি বলেন, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নূরুল হুদা বলেন, পাঁচ সিটির মতোই আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে শাসন নয়, দুঃশাসন করেছেন। তার ফলেই জনগণের রায় আপনাদের বিরুদ্ধে গেছে। কোনো নির্বাচনেই এই সরকারের জয়ের সম্ভাবনা নেই।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নূরুল হুদা বলেন, নির্দলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের এক বিন্দু বিশ্বাস করি না। কারণ এই সাড়ে চার বছরে আপনারা এমন কিছু করেন নি, যাতে কোনো বিশ্বাস করা যায়। সরকারের ভেতরে একটি দুষ্ট চক্র আছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা জানেন কিনা জানি না। কিছুদিন আগে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ হলো। এক পর্যায়ে তারা নাস্তিক বলে পরিচিত হলো। তারই প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের আবির্ভাব।
তিনি বলেন, হেফাজতের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য না আসায় পাঁচ সিটি নির্বাচনে মানুষের রায় সরকারের বিপক্ষে গিয়েছে। এই সরকারের সামনে এখন দুটি পথ, একটি হলো সংঘাত, অন্যটি সমঝোতা। সংঘাতের পথ নিলে পরিণতি হবে আরো ভয়ঙ্কর ও করুণ।
শুক্রবার ইফতারের পর মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচানী গ্রামে উপজেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার জগলুর পিতা বিএনপি নেতা আবদুল আহাদ মেম্বারের কুলখানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পর সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা খাইর“ল হুদা, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, জেলা বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন খান, সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মফিজুল ইসলাম, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নান্নু মিয়া প্রধান, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক আবুল বাশার জগলু, চাঁদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন মজুমদার, দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রাজন, যুগ্ন সম্পাদক মনির খান, ছেংগারচর পৌর যুবদল নেতা মনির হোসেন মোলা, জহিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. সোলাইমান, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, এখলাছপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন, জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মোবারক হোসেন, ষাটনল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নূরে আলম, যুবদল নেতা শহীদ উল্লাহ, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, বোরহান উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মানিক ফরাজী, পৌর ছাত্রদল নেতা আশেফ মাহমুদ সংগ্রাম, সুমন, মোহন, ষাটনল ইউনিয়ন ছাত্রদর নেতা রুবেল, গজরা ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর মুন্সি, জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদল আহম্মদ হোসেন মিন্টু, মমিন, লাল মিয়া, মানিক খান, শরীফ প্রমুখ।
শিরোনাম:
বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।