রীষ্মের তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। মধ্যরাতেও লোডশেডিংয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাজধানী ঢাকায় গড়ে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।
ঢাকার বাইরের গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে বলেও গ্রাহকদের অভিযোগ। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি স্টেশনে এবং ফিলিং স্টেশনগুলোতে গতকাল রবিবার গ্যাস ও তেলের সংকট দেখা গেছে। অনেক ফিলিং স্টেশনের সামনে টানানো ছোট ব্যানারে লেখা ছিল, ‘তেল বন্ধ’। সিএনজি স্টেশনে লেখা ছিল ‘গ্যাসের চাপ কম’।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও জ্বালানিসংকটে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু বিপিডিবির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। বিশেষত মধ্যরাতে লোডশেডিং তীব্র হচ্ছে।
মধ্যরাতে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। বিতরণ কম্পানিগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমে ব্যাপকভাবে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। সেই তুলনায় বিপিডিবি বিদ্যুৎ উৎপাদন না করায় তারা চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়েই লোডশেডিংয়ে যেতে হচ্ছে।
চলমান লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল সচিবালয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘লোডশেডিং বেড়ে গেছে।