প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে ভুল করলেন। ভণ্ড হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে। ভুল অবশ্য তিনি আগেও করেছেন। আর এ ভণ্ডামির পেছনে যারা ছুটছেন তারাও ভণ্ড। পুরো দেশটা এখন ভণ্ডের পেছনে ছুটছে। আর রাজনীতিতে চলছে সার্কাসের চরিত্র। রাজনীতিবিদরা ক্লাউন্ড। বার্লিনে দু’দিন আগে মানবজমিন-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নির্বাসিত কবি ও লেখক দাউদ হায়দার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যাদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে এবং আগামীতে সরকার গঠন হবে, তারা দু’বছরের বেশি কিছুতেই টিকতে পারবে না। জনগণ জেগে উঠলে, সুনামি এলে রক্ষা নেই। দাউদ হায়দার বলেন, যে মানুষটি নিজেকে নিয়ে লুকোচুরি খেলে। কথায় নয়, তার চেহারায়ও ভণ্ডামির চরিত্র ফুটে ওঠে। বয়স কমানোর জন্য মাথায় কলপ দেয়। তার কাছ থেকে এ সঙ্কটের সময় কীইবা আশা করতে পারে দেশ। সর্বদলীয় সরকারে যাওয়ার আগে এরশাদ বলেছিলেন, এবার আমি কথা না রাখলে মানুষ মুখে থুতু দেবে। তিনি বলেন, এরশাদের শাসনামলে আমার বিরুদ্ধে ফরমান জারি করা হয় এভাবে; দাউদ হায়দার সন্দেহজনক চরিত্র, দেশদ্রোহী ও বিদ্রোহী তাকে দেশে পাঠানার জন্য সব দেশকে বলা হচ্ছে। এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন ‘কনক প্রদীপ জ্বালো’ নামে তার একটি কবিতার বই বাংলাদেশস্থ ডেপুটি হাইকমিশনার যুগান্তর পত্রিকার মাধ্যমে আমাকে রিভিউ করতে দেয় । আমি ওই সময় তার বই সম্পর্কে লিখেছিলাম; অন্য কোন কারণে নয় বাজে কবিতা লেখার জন্য তাকে গুলি করে হত্যা করা উচিত। কবি দাউদ হায়দার আক্ষেপ করে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, এরশাদ, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া কেউ আমাকে ভিসা দেয়নি। কড়া সমালোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একাধিকবার জন্মদিন পালন করায়। বলেন, দেশ এখন ৪টি ধারায় বিভক্ত। পুরো ইসলামপন্থি, পাকিস্তান ও বিএনপিপন্থি, ইসলামি ও তালেবানপন্থি এবং বাংলাদেশপন্থি। দাউদ হায়দার বলেন, বাংলাদেশ একদিন না একদিন তালেবান হবেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেউ মৌলবাদ দমন করতে পারছে না। অথচ জার্মানিতে যার ধর্ম তার কাছে। এখানে অনেক চার্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ডিসকোর জন্য ভাড়া দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বার্লিনে মাত্র ৩টি মসজিদ রয়েছে। সৌদি আরবের টাকায় চলে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের টাকায় কয়েকজন ছাত্র এসেছে বার্লিনে। তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। কবি দাউদ হায়দার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ইউরোপিয়ানদের ধারণা বংলাদেশের গ্রামের লোকদের শান্তি ফিরে এসছে তার জন্য। তবে আমার প্রশ্ন কতটা শান্তি ফিরেছে? লেখক ও কবি দাউদ হায়দার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, জনগণ কেন এসব রুখে দাঁড়াচ্ছে না? কেন ’৭১ সালের মতো গর্জে উঠছে না। দেশে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে লাগামহীনভাবে। নির্বাসিত লেখক দাউদ হায়দার বলেন, দেশে ফেরার জন্য ভিসা চেয়েছিলাম। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও দিপু মনি বলেছিলেন, মানবিক কারণে আপনাকে ভিসা দেয়া উচিত। কিন্তু গত আগস্ট মাসে চিঠি এসেছে বলা হয়েছে আমাকে শেখ হাসিনা ভিসা দিতে রাজি নন। অর্থাৎ, আমাকে ভিসা দেয় হবে না। তবুও এ দুঃসময়ে দেশের জন্য শুভ কামনা।
উৎসঃ manabzamin
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।