প্রতিনিধি : ‘গরিব বানাইয়া পাঠিয়েছেন এবং গরিব হয়ে এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরজীবনের জন্য বিদায় নিয়ে চলে গেলাম, মানুষকে যেন এই দুনিয়াতে ধন-সম্পাদ দিয়ে পাঠান।’
আত্মহত্যার পূর্ব মূহুর্তে চিরকুটে এ কথা লিখে গেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের আনসার সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম (২৭)। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালীস্বর্ণা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
রবিবার কর্মস্থলে যোগ দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন মনিরুলের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর আনসার সদস্য হিসেবে হাজীগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় যোগদান করেন মনিরুল। শনিবার রাতের যে কোনো সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
ব্যাংক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সকালে ব্যাংকের ঝাড়ুদার মঞ্জুমা খাতুন ব্যাংকের গেট খোলার জন্য ডাকাডাকি করেন। একপর্যায় কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আমাকে খবর দেন। পরে গেটের তালা ভেঙে মনিরুলের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাই।’
অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. লোকমান হাজরা বলেন, ‘মনিরুলের হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে লিখে গেছেন তিনি।’
চিরকুটে মনিরুল আরো লেখেন, ‘আমার এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমিই দায়ী। আমার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোনো সুখ পাইনি। এই দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে কোনো সুখ পাইনি। আমি আমার নিজের স্বার্থের জন্য কখনো কাঁদিনি। কিন্তু অন্য মানুষের স্বার্থের জন্য কেঁদেছি। আমার জীবনে দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু কাউকে দুঃখ দিইনি।’
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।