স্টাফ রিপোর্টার:
উচ্ছলতা, নির্মলতা, কোমলতা কিংবা প্রাণচঞ্চলতা কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি শিশু খাদিজাকে। দুঃসহ যন্ত্রণায় কাটছে তার জীবন। আর কত দিন এ অসহ্য কষ্ট বয়ে বড়াতে হবে জানেনা খাদিজা ও তার পরিবার। জন্ম থেকে প্রাকৃতিকভাবে এক অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে চলেছে সে। বার বছরের শিশু খাদিজা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্য খাদিজা চতুর্থ। বয়স অনুযায়ি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার কথা থাকলেও বর্তমানে খাদিজা পড়ছে চতুর্থ শ্রেণীতে। একটি টিউমার কেড়ে নিয়েছে তার জীবনের ১২ বছর। জানা যায়, গরিব বাবার সন্তান তাই ঠিকভাবে চিকিৎসাও করানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখানো হয়। তাও কবে দেখিয়েছেন বলতে পারেননি মা রহিমা বেগম। প্রায় আড়াই বছর আগে বাবা সিদ্দুকুর রহমান মারা যান। তিন বছর বয়সে একবার ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। ডাক্তার বলেছিলো, বাংলাদেশের এর কেনো চিকিৎসা নেই। ভারতের মাদ্রাজ নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তিনি এটিকে টিউমার হিসেবে চিহ্নিত করেন। অবশ্য টাকার অভাবে আর ভালো কোনো চিকিৎসক দেখানো সম্ভব হয়নি বলে জানান মা রহিমা বেগম। তিনি বলেন, জন্মের সময় খাদিজার মাথায় ছোট্ট একটা ফোঁড়া দেখতে পাই। এরপর অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ওর মাথায় যখন ব্যথা উঠে চিৎকার আর চেঁচামেচি করতে থাকে। সামনে যাকে পায় জড়িয়ে ধরে। ভয়ানক আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে খাদিজা। প্রায় প্রতিদিনই মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা উঠে। কখনো শরীর ভালো লাগলে স্কুলে যায়। ক্লাসে বেশি সময় বসে থাকতে পারে না। মাথায় ব্যথা উঠলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীফ ফকির, বিল্লাল হোসেন, কাউছার হোসেনসহ স্থানীয়রা জানায়, খাদিজার বড় ধরণের অপারেশন করতে হবে। এ জন্যে যে টাকার প্রয়োজন তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে তা জোগাড় করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি বা কোনো ধনাঢ্য পরিবারের সহায়তার অনুরোধ জানান উপস্থিত মানুষজন।