স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরের মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া মা মেয়ের লাশের সন্ধান গত ২ দিনেও মিলেনি। রোববার রাত ১১ টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনাগামী এম ভি কিং সম্রাট মেঘনার মাঝামাঝি গেলে তা থেকে মা পরী বেগম হঠাৎ নদীতে ঝাপ দেয়। এসময় মাকে ধরতে গিয়ে মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাজিয়াও নদীতে ঝাপ দেয়। তখন ওই লঞ্চে থাকা অপর শিশু কন্যা নুসরাত (৭) বেঁচে থাকলেও মা ও বোনকে না পেয়ে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে থাকে। বর্তমানে শিশুটি বরগুনার সদর থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন জানান, শিশুটির মা পরী বেগম কি কারণ নদীতে ঝাপ দিলেন তা বুঝা যাচ্ছে না। এব্যাপারে তদন্ত চলছে। তখন হয়তো প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এদিকে চাঁদপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, গত দুই দিনেও চাঁদপুরের নৌ-সীমানার কোথাও কোন লাশ ভেসে উঠতে বা খুজে পাওয়া যায়নি। বেঁচে থাকা শিশু কন্যা নুসরাতের কিং সম্রাট লঞ্চের মাস্টার আবুল হোসেন জানান, পরী বেগমের স্বামীর নাম আক্তার হোসেন। তিনি চশমার দোকানে চাকরি করেন। তাদের বাসা ঢাকার যাত্রাবাড়িতে।