শাহাদাত হোসেন, কুয়ালালামপুর, (মালয়েশিয়া) দীর্ঘ সাত বছর পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর দেখা হয়েছে, এ সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারেক ও কোকো। হোটেল রুমের পরিবেশ গভীর হয়ে উঠে, দু ভাইয়ের পরিবার এবং সন্তানেরা এই সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অনেক দিনের জমানো দুঃখ কষ্টের সাথে পরিবারের সকল সদস্যদের মহামিলনে আনন্দ আশ্রু অবারিত বয়ে চলে। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরাফাত রহমান কোকো। একই বছরের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। এর পর দুই ভাইয়ের আর দেখা হয়নি। সপরিবারে মালয়েশিয়া পৌঁছান তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে আসেন তিনি। হোটেলে আগে থেকেই সপরিবারে কোকো উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর দেখা হলো তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডন যান। একই বছরের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান কোকো। একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায় আসেন আরাফাত রহমান কোকো। মালয়েশিয়ার বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, আগামী ৬ অথবা ৭ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে পারেন। খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর গেলে তারেক রহমানও সেখানে যাবেন। সেখানে তাদের মধ্যে দেখা হবে। মা-ছেলের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা গেছে। এদিকে তারেক রহমান মালয়েশিয়ায় আসায় ঢাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা মালয়েশিয়া এসে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কারো সঙ্গে দেখা দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মালয়েশিয়া বিএনপি নেতা জানান, র্যাব বিলুপ্তির দাবিতে জনমত তৈরির অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তারেক রহমান। আগামী ৯ জুন এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রটি এও বলেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে সিঙ্গাপুর না গেলে হয়তো। ৮ জুন মালয়েশিয়া বিএনপির একটি কর্মসূচি আছে। সেখানে তারেক রহমান থাকবেন বলে নেতারা আশা প্রকাশ করেন।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।