ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি =
দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেত্রী বন্দী থাকবেন আর আমরা কর্মীরা বাড়ি বসে ঘুমাবো এটা কিছুতেই হয় না। নেত্রীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা কোনো নেতা-কর্মী রাজপথ থেকে বাড়ি ফিরবো না। গতকাল রোববার হরতালের প্রথম দিন হাজীগঞ্জের সেন্দ্রা এলাকায় হরতালের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী কর্মীসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। তিনি আরো বলেন, জেল, জুলুম, গ্রেফতার, হয়রানি করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। গত ৭ নভেম্বর হাজীগঞ্জের ১৮ দলীয় জোটের গণজমায়েতের উপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাদের বহু লোককে জখম করেছে। অথচ পুলিশ একতরফাভাবে ৭জনকে গ্রেফতার করে এবং প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মীর নামে একটি অস্ত্র মামলা দায়ে করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।
সমাবেশে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বিলস্নাল হোসাইন বেলালের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ হোসেন মাহমুদ ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমএ নাফের শাহ্। মিছিল, পিকেটিং ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন, সেলিম মিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর ওলামা দল সভাপতি হাফেজ জসিম উদ্দিন, জামায়াত নেতা আঃ আউয়াল, হাফেজ শাহাদাত, হাফেজ আক্তার, ছাত্র শিবির নেতা আব্দুর রহমান প্রমুখ।
জানা গেছে, চাঁদপুর জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালনের লক্ষ্যে এবং আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বিএনপি জেলাকে ৩২টি স্পটে ভাগ করেছে। যার মধ্যে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিসহ ১৩টি স্পট এবং ফরিদগঞ্জ ও কচুয়ায় কয়েকটি স্পটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। আর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক চাঁদপুর শহর, হাইমচরসহ বাকি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।