মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুর মৎস্য ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা ইন ফিশারিজ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মৎস্য সম্পদ আমাদের জন্যে সোনার সম্পদ। এ সম্পদকে রা করা আমার আপনার সবারই দায়িত্ব। বাংলাদেশে মৎস্য চাষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যদি আমরা এ বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে দেখি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি। শুধু মুখে বললেই হবে না, আমাদেরকে জাতীয় এ সম্পদ রা করার জন্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে, এবং দেশের মৎস্যসম্পদ রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকার এ েেত্র যতো সহায়তা করার দরকার তা করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ চাঁদপুর মৎস্য ইন্সটিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজস্বভাবে মৎস্য চাষের সুযোগ থাকলে তাতে সহায়তা প্রদান করে তাদের এ ব্যাপারে আরো উৎসাহ প্রদান করতে হবে। ফলে তারা মৎস্য চাষ করে আরো স্বাবলম্বী হবে, দেশের উন্নয়ন ঘটবে এবং ছাত্র-ছাত্রীরা হায়ার এডুকেশনের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
গতকাল বুধবার সকালে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এসব কথা বলেন। ইন্সটিটিউটের অধ্য মো. হাসানের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন ইন্সটিটিউটের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বিনয় চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন চাকমা, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ।
পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন মৎস্য গবেষণার বিষয় পরিদর্শন করেন এবং মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথে দেশের মৎস্য আহরণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি সবার বক্তব্য শোনার প্রশ্ন করে বলেন, কেনো জাটকা নিধন বন্ধ হওয়ার পরও ইলিশের আশাতীত উৎপাদন বাড়ছে না? সে জন্যে সকলকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর ইলিশের জন্যে বিখ্যাত। কিন্তু এ খ্যাতি ধরে রাখার জন্যে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং সরকারের আইন অনুযায়ী মৎস্য সম্পদকে আহরণ করতে হবে। অন্যথায় দেশের মৎস্য সম্পদ অকালেই ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। এ সময় মতবিনিময় সভায় স্লাইডশোর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার জাল দিয়ে যে মৎস্য সম্পদ ধরা হয়, তা দেখানো হয়।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।