যাত্রীবাহী লঞ্চ এম.ভি তাকওয়া থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া নিখোঁজ সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজিবের সন্ধান গত ২দিনেও মিলেনি। সজিব বগুড়ায় ৬মাস পূর্বে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে হতাশায় ভুগছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে হতাশা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনটি জানালেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ এরশাদ আলম। নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি.এম নুরুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক কলহের কারনেই সাংবাদিক সজিব নদী ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এদিকে পরিবারের লোকজন নিখোঁজ সাংবাদিকের সন্ধানে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, মুক্তাপুর ও নারায়নগঞ্জের বক্তারবলি এলাকায় নদীতে ট্রলারযোগে তার লাশের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজিব বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রির্পোটার সহ আরো কয়েকটি মিডিয়ায় কর্মরত ছিলেন। রোববার রাতে সজিবের ১ম স্ত্রী মোরশেদা বেগম নিশী ও তার ছেলে নুর মোহাম্মদ সোহান সহ আত্মীয় স্বজনরা চাঁদপুর নৌ-ফঁড়িতে আসেন এবং সজিবের লঞ্চে রেখে যাওয়া মোবাইল, মানি ব্যাগ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নৌ-পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন। এদিকে তার ২য় স্ত্রী রুবি বেগম ও শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জের কাছে থাকা সাংবাদিক সজিবের মোবাইলে ফোন করেন বলে জানান, চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। উল্লেখ্য গত রোববার চাঁদপুরগামী এম.ভি তাকওয়া লঞ্চে উঠে মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজের কাছে সাংবাদিক সজিব নদীতে ঝাপ দেন।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা নৌ-টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি তাকওয়া ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে সকাল পৌনে ১১টায় লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজ পার হওয়ার পর লঞ্চের তৃতীয় তলা থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ঢাকা মেডিকেল রিপোর্টার ও গোয়েন্দা রিপোর্ট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আড়ং ওয়াজেদ জয় সজিব আহমেদ তার সাথে থাকা ২টি মোবাইল সেট, একটি মানিব্যাগ ও মালামাল রেখে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে নদীতে পরে আতœহত্যার উদ্দেশ্যে। তাৎক্ষনিক লঞ্চ কর্তৃপক্ষ লঞ্চটি ঘটনাস্থলে থামিয়ে ব্যাপক খোজাখুজি ও তল্লাশী করে তাকে উদ্ধার করতে নাপেরে দুপুরে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে চলে আসে। দুপুর ১.১৫ মিনিটে লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাটে পৌছার পর লঞ্চের কেরানি লিটন সজিবের রেখে যাওয়া ২টি মোবাইল, মানিব্যাগ ও মালামাল চাঁদপুর নৌ-পুলিশের দায়িত্বে থাকা এরশাদ হোসেনের কাছে পৌছে দেয়। মানিব্যাগে ২টি পরিচয়পত্র, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো। সেমতে জানাযায় তার বাড়ি ঢাকা লালবাগ কামাল দা সড়কে। সে বর্তমানে ঢাকা চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত নূর মোহাম্মদ।