মতলব উত্তর: চাঁদপুরের মতলবে ধনাগোদা নদীর ওপর স্বাধীনতার ৪২ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি। আওয়ামী লীগের আগেরবার ক্ষমতা গ্রহণের পর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবায়ন করেনি। এরপর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের শেষদিকে রাজনৈতিক বাহবা নেয়ার জন্য সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চললেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ পর্যন্ত কোনো সরকারই মতলববাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেনি।
চাঁদপুর জেলার সবচাইতে দূরে মতলব উত্তর উপজেলা। চতুর্দিকে নদী বেষ্টিত উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বসবাস। ধনাগোদা নদী যুগযুগ ধরে এ জনপদের কয়েক লাখ মানুষকে প্রায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবিতে বহুবার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেতু না থাকায় মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় পৌনে ৪ লাখ মানুষ জেলার সঙ্গে যোগাযোগে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ উপজেলাকে ধনাগোদা নদী বিভক্ত করে রেখেছে। বাবুরহাট-মতলব-ধনাগোদা-শ্রীরায়েরচর সড়ক বেশ জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে শত শত বাস, মিনিবাস ও প্রাইভেটকার এ রোডে যাতায়াত করছে। বর্তমানে দুটি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম) নদী পারাপারের জন্য ফেরি সার্ভিস চালু করেন। তারপর তিনি সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে তা বাস্তবায়ন হয়নি। পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের মেয়াদের শেষদিকে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা সেতুর নির্মাণের লোক দেখানো ভিত্তিপ্রস্তর করেই দায়িত্ব শেষ করে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হতে চললেও এ ব্যাপারে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
ঢাকা মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম) জানান, তিনি মতলব উত্তর উপজেলায় শিল্পনগর গড়ে তোলার জন্য ধনাগোদা নদীতে দুটি ফেরি সার্ভিস চালু করেন। এরপর ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে সেতুর কাজ থেমে যায়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ এলাকার মানুষ ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখে আসছে। সেতু না হওয়ায় উপজেলাবাসীর সঙ্গে তিনিও হতাশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কয়েকবার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও টাকার অভাবে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হয়নি।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।