প্রতিনিধি
প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ পরে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন সুমন নামে এক রাজমিস্ত্রী। আর বিয়েতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর দিলেন ৫ লাখ টাকা এবং ১০ শতক ভুমি রেজিষ্ট্রি করে দিলেন কনের নামে। ঘটনাটি ঘটেছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর প্রধানিয়া বাড়িতে। কনে ঐ বাড়ির আঃ মতিনের মেয়ে মানছুরা। বর একই গ্রামের হেদায়েত উল্লার ছেলে সুমন প্রধান। গতকাল ১৪ নভেম্বর শুক্রবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে মেয়ের নামে ১০ শতক ভূমি ও ৫ লাখ টাকা দেনমোহর দেয়া হয়। এ বিয়ে দেখার জন্য গ্রামের স্থানীয়রা ছুটে যায়। বিয়েতে বর ও কনে যাত্রীসহ স্থানীয়ভাবে শতাধিক মেহমান ছিল। কনের মামা আবুল কালাম জানান, ছেলে মেয়ে সাথে একটি ঘটনার সামান্য টাকা-পয়সা দিয়ে আমার ভাগ্নির ইজ্জতের মূল্য দিতে চেয়ে ছিল। পরে মামলা করলে সুমনের পিতা সামাজিক ভাবে সুমকে মানছুরার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয় এবং গতকাল বিয়ে সম্পন হয়।
মাতা মনি বেগম জানান, আমার মেয়ে মানছুরার সাথে সুমনের বিয়ে হয়েছে। কনের পিতা আঃ মতিন জানান, আমার মেয়ের সাথে সুমনের বিয়ে হয়েছে। বরের পিতা হেদায়েত উল্লাহ জানান, আমার ছেলে সুমনের সাথে মানছুরার বিয়ে হয়েছে। সুমন ও মানছুরা জানান, সামাজিকভাবেই আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, খর্গপুর ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী মানছুরা। গত ২২ অক্টোবর রাতে এলাকারই সুমন ও তার সহযোগীদের ধর্ষণের শিকার হয়। পরে মা মনি আক্তার বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সামাজিক চাপে সুমন বিয়ে করতে বাধ্য হন।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।