ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলা ধানুয়া মিজি বাড়ি বশির মিজির ছেলে শফিক মিজি যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী ও ৪ বছরের শিশু সন্তানকে পিটিয়ে জখম করেছে।
গতকাল রোববার আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এনায়েত নগরের ইসমাইল ছৈয়ালের মেয়ে শাহানাজ (২০)-এর সাথে বিগত ৫ বছর পূর্বে ধানুয়া মিজি বাড়ির ফরিদগঞ্জের জনতা ব্যাংকের কর্মচারী বশির মিজির ছেলে শফিক মিজির সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শফিক তার শ্বশুরের কাছ থেকে যৌতুক চেয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সে বিভিন্ন সময় আরো টাকার দাবিতে শাহনাজকে মারধর করে। ঘটনার দিন দুপুর ১২টায় শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য শাহনাজকে চাপ সৃষ্টি করলে সে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধরক মারধর করলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার মুখের ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ সময় তার শিশু অপি (৪) মাকে জড়িয়ে ধরলে তাকেও গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সে ধস্তাধস্তি করে প্রাণে রক্ষা পায়। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য পাষণ্ড স্বামী শফিক মিজি তাকে মেরে গুম করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে শাহনাজ তার মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়িতে পালিয়ে থাকে। ঐ বাড়ির লোকজন তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তার বাবা ইসমাইল ছৈয়াল আহত মেয়ে ও নাতনীকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত শাহনাজ জানায়, তার শ্বাশুড়ি সুরাইয়া বেগম দীর্ঘদিন সাবেক মহিলা মেম্বার হওয়ায় এলাকার মানুষ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ঘটনার দিন বেদম মারধর করার সময় আশপাশের লোকজন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। সে সেখান থেকে পালিয়ে এসে প্রাণে রক্ষা পায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বশির মিজির ছেলে শফিক মিজি এর পূর্বে আরেকটি বিয়ে করেছিলো। যৌতুকের টাকার জন্য পূর্বের স্ত্রীকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রথম বিয়ে গোপন রেখে শাহনাজকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস ও মাদক সেবী হিসেবে পরিচিত।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।