শরীফুল ইসলাম =
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেরা এ সময়টাতে ইলিশ মাছ ধরতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু এবার ঠিক উল্টো। এবার জেলেরা নদীতে ইলিশ মাছ না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় পদ্মা-ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে অবসর সময় কাটাচ্ছে। ঈদের বাকি মাত্র ২/৩ দিন। ঈদের আনন্দ পরিবারের মাঝে ভাগাভাগি করতে ইলিশ মাছ ধরার জন্য সকাল থেকে রাত অবিধ নদীতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু নদীতে মাছ না পাওয়ায় হতাশভাবে দিন গুনতে হচ্ছে জেলেদের। চাঁদপুরের এ সময়টাতে ইলিশ মাছ ধরতে বিভিন্ন জেলার যেমন- মাদারিপুর, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর সহ অন্যান্য জেলার জেলেরা ছুটে আসে পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে। তেমনি জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় কয়েক শ জেলে পরিবার ইলিশ মাছ ধরার জন্য নদীতে নামে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এবার ইলিশ মাছ না থাকায় সকল পরিবারই ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত বলে জানায় জেলেরা। শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার এক জেলের সাথে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুরে প্রায় প্রতিদিন কয়েক শত জেলে নৌকা নিয়ে নদীতে নামে ইলিশ মাছ ধরার। কিন্তু বর্তমান সময়টাতে আমরা যে হারে কষ্ট ও টাকা খরচ করে থাকি সে হারে আমরা মাছ পাই না। প্রত্যেকটি নৌকায় ১০-১৫জন সদস্য থাকে মাছ ধরার জন্য। প্রতিদিন জেলেদের ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয় মাছ ধরতে এবং ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল ও নৌকা ভাড়া করে এনে মাছ ধরতে হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা নদীতে থেকে ১হাজার থেকে পনের শ টাকার মতো মাছ ধরতে পারে। আমরা যে পরিমান টাকা ব্যয়ে নদীতে মাছ ধরতে আসি, তার অর্ধেক পরিমাণও মাছ ধরে আনা যাচ্ছে না। জেলেরা আরো বলেন, সামনে ঈদ। ছেলে-মেয়েদের কিভাবে ঈদের জামা কিনে দিবো, সে চিন্তায় কুঁড়ে খাচ্ছে। নদীতে মাছ কম থাকার কারন সম্পর্কে তারা জানায়, এখন পুরো বর্ষার মৌসুম। নদীতে পানি বেশি থাকার কথা থাকলেও নদীতে জাটকা মৌসুমে জাটকা নিধন করার কারনে বর্তমানে ইলিশের আকাল দেখা গেছে। সেই কারনে হয়তো নদীতে মাছের দেখা যাচ্ছে না। তাই ইলিশের শহরের ইলিশের দেখা মিলতে হলে জাটকা সংরক্ষণ আইন প্রত্যেক জেলেকেই মেনে চলতে হবে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।