স্টাফ রিপোর্টার:॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বারেকের নেতৃত্বে অপ্রাপ্ত বয়স্ক নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। দেশ যখন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে সেখানে খোদ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে রাতের আধারে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বিয়ের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টায় মৈশাদী ইউনিয়নের হামনকর্দ্দি গ্রামে এ বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটে। এলাকার মেম্বার পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজেই পাহারাদারের দায়িত্বে থেকে এ বাল্য বিবাহ দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
জানা যায়, মৈশাদী ইউনিয়নের পল্লী মঙ্গল হাই স্কুল সংলগ্ন রশিদ বেপারী বাড়ির বাশির বেপারীর মেয়ে পলি আক্তার (১৩) সাথে মহামায়া এলাকার জনৈক যুবকের সাথে গোপনে বিয়ের দিন তারীখ ধার্য হয়। পল্লী মঙ্গল স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী পলির বিয়ের বয়স না হওয়ার কারনে এলাকায় জানাজানি হওয়ার আতংকে মেয়ের ইউপি মেম্বার বারেকের সরনাপন্ন হয়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুযোগ সন্ধানী মেম্বার থানা পুলিশকে ও টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার নাম করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। শুক্রবার রাত ৯টায় বারেক মেম্বার ও তার সহযোগীদের নিয়ে বেপারী বাড়িতে পাহারাদার বসিয়ে গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে। এসময় এলাকার কিছু যুবক ঘটনাটি জানতে পেরে বাল্য বিবাহের প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে হট্রগোল সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে মেম্বার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিয়ে হয়েছে তবে বাল্য বিবাহ হয়েছে কিনা তা জানা নেই। মেয়ে পক্ষে সাথে যোগাযোগ করে পত্রিকায় যে নিউজ না হয় সে ব্যপারে সমঝোতা করবো। নবম শ্রেনীর ছাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক কিনা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন এমন অনেক বিয়ে হচ্ছে। কে কার খবর রাখে।
এ ব্যপারে মৈশাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলি পাটওয়ারী বলেন, ৭নং ওয়ার্ডের বাল্য বিবাহের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারবো। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ইউনিয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে এ বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটে থাকলে সত্যি দুঃখজনক।