প্রতিনিধি
এককালের খরস্রোতা ডাকাতিয়া এখন তেজহীন মরা নদী। কচুরিপানার জট, ময়লা-আবর্জনা আর সুয়ারেজের নোংরা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ডাকাতিয়ার পানি।
নদীর মাছ নেই বললেই চলে। পানি নষ্ট হয়ে ছড়াচ্ছে নানান রোগ ব্যাধি। মাছ ধরতে না পেরে অনাহারে দিন কাটছে সহস্রাধিক জেলে পরিবারের। এদিকে ডাকাতিয়া নদীর পানি ও মাছ রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে নানান রকম কর্মসুচি পালন করে আসছে মৎস্যজীবী সংগ্রাম পরিষদসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংগঠন ।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ হতে রক্ষা ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালে ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘের ডাকাতিয়া নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে নির্মিত হয় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প সিআইপি বেড়ি বাঁধ। তখন থেকেই উদ্দামতা হারাতে শুরু করে খরস্রোতা ডাকাতিয়া।
নদীর স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটা বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় কচুরিপানার মারাত্মক জট। বছরের পর বছর এই কচুরিপানা পঁচে নষ্ট হয়ে যায় নদীর পানি। এ কারণে নদীতে প্রায় ৩০ প্রজাতির দেশি মাছ আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে।
দূষণের আরেকটি বড় কারণ, ফরিদগঞ্জ পৌর শহরের সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় এই নদীর পানিতেই।
পাশাপাশি আবাসিক এলাকার অসংখ্য সুয়ারেজের লাইন এই নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। নদীর পানি পঁচে দূর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে শহরের পরিবেশ মারাত্নক হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার বলেন, ডাকাতিয়া নদীর পানি ও মাছ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা নেব।
মেয়র মঞ্জিল হোসেন বলেন, শহরের মধ্যে প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন করা হবে যাতে করে কেউ নদীতে ময়লা ফেলতে না হয়। এরপরও কেউ বাড়ির সুয়ারেজের লাইন নদীতে দিয়ে এবং ময়লা ফেলে নদীর পানি নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ডাকাতিয়া নদী রক্ষায় দীর্ঘ দিন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মৎস্যজীবী সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন দুলাল বলেন, ডাকাতিয়া নদীর পানি ও মাছ রক্ষায় অচিরেই নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হবে। আর এর জন্য চাই স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ।
শিরোনাম:
শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।