ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান ॥
চাঁদপুরে আদালতের ভিতরে প্রবেশ করে সরকারী কাজে বাধাঁ ও সরকারী কর্মচারীর উপর হামলার ঘটনায় নাজির পাড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন দেওয়ানকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধায় মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদ সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে আদালত প্রঙ্গন থেকে মামুন দেওয়ান (৩০) কে আটত করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নাজিড় পাড়ার, খালেক দেওয়ানের ছেলে বিল্লাল হত্যা মামলার আসামী মামুন দেওয়ান তালতলা বকাউন বাড়ির শহীদউল্লাহ মিজির মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে জোড় পূর্বক বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মামুন দেওয়ান তার স্ত্রীকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করত। পাশন্ড স্বামীর হাত থেকে রেহাই পেতে জান্নাতুল ফেরদৌস বাবর বাড়িতে থেকে জজ কোর্টের লাইব্রেরী শাখায় এম. এল. এস হিসাবে চাকুরী করত। ঘটনার দিন বিকাল ৫টায় জান্নাতুল ফেরদৌস আদালতে সরকারী কাজ করার সময় লম্ফট মামুন দেওয়ান লাইব্রেরী শাকায় প্রবেশ করে তার হাতে থাকা কাগজ পত্র ছুড়ে ফেলে। এসময় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে তাকে বেদম পিটিয়ে পকেট থেকে ব্লেড বের করে আঘাত করার চেষ্টা করে। তাৎনিক জজের নাজির মুকবুল, ফকরুদ্দিন, বিল্লাল সহ বেশ কয়েকজন মামুনকে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়। ঘটনাটি তাৎনিক চাঁদপুর জেলা জজ সাহেব জানতে পেরে মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আদালতে প্রবেশ করে সরকারী কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় আটককৃত মামুন দেওয়ানের বিরুদ্ধে বিশেষ মতা আইনে ও নারী এবং শিশু নির্যাতন আইনে দু’টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও নাজিড় পাড়ায় বিল্লাল হত্যা মামলার আসামী হচ্ছে মামুন। সে দীর্ঘ দিন যাবত চাঁদপুরে বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়া সে রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় থেকে শহরে হামলা, ভাংচুড় ও মারা মারির ঘটনা করেছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।