শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥ চাঁদপুর শহরে নাজির পাড়ায় ইয়াবা বিক্রির স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছে। পুলিশের সোর্স এখন দেদারছে ইয়াবা বিক্রি করায় এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইয়াবা বিক্রির অবৈধ টাকায় নাজির পাড়ার জনৈক ব্যাক্তি এখন তার দো-তলা ভবনের কাজ সম্পন্ন করেছে। যে নাকি ভাঙ্গারি মাল বিক্রি করতো সে এখন নাজির পাড়ার সবচেয়ে বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী। জানা যায়, নাজির পাড়ার দেওয়ান বাড়ি সংলগ্ন তার সহযোগী পুলিশের সোর্স রিপন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। মাদক বিরোধী অভিযানে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ডিবি পুলিশ শহরের নাজির পাড়া, প্রফেসর পাড়া, কোড়ালিয়া, ওয়ারলেছ, বাবুরহাট ও শহরের অনান্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রেতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। মাদক বিক্রি শহরে অনেকাংশ কমলেও নাজির পাড়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে জনৈক ব্যাক্তি
তার বাড়ির ছাদে বসে পাইকারী ও খুচরা ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। তার সহযোগী পুলিশের সোর্স রিপন চাঁদপুর মডেল থানার এ.এস.আই আহসানুরজামান লাবুকে অনান্য ইয়াবা বিক্রেতাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তথ্য প্রদান করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর দিকে সেই পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে তার পার্টনার সাথে নিয়ে ইয়াবা বিক্রি করছে। প্রায় সময়ই পুলিশের সোর্স রিপনকে থানা প্রাঙ্গন এলাকায় দেখা যায়। শহরের অনান্য ইয়াবা বিক্রেতাদের আটক করলেও সেই সুযোগে জনৈক ব্যাক্তি তার ইয়াবা বিক্রির স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেছে। নাজির পাড়ার এলাকাবাসীরা জানায়, চাঁদপুর শহরে মাদক সেবীরা নাজির পাড়ায় জনৈক ব্যাক্তি ও রিপনের কাছ থেকে প্রতিদিন মোটসাইকেল নিয়ে এসে ইয়াবা ক্রয় করে নিচ্ছে। পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত রিপন অনান্য মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অপরদিকে সে নাজির পাড়াল বহাল তবিয়তে ইয়াবা বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এব্যাপারে এএসআই আহসানুরজাম্মান লাবু জানায় কোন মাদক বিক্রেতাকে আমরা সোর্স হিসেবে ব্যবহার করি না। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি অপকর্ম করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।