স্টাফ রিপোর্টার:
সাদিয়া ও ফারজানা। স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। স্কুল ছুটির পর খপ্পরে পড়ে এক নারী ছিনতাইকারীর। সে নারী এই দুই শিশুকে বিদ্যালয়ের গেইটের বাইরে থেকে খালার বাড়িতে নেয়ার লোভ দেখায়। শিশু দুটি সরল মনে ঐ অজ্ঞাত নারীর সাথে গাড়িতে উঠে বসে। পথিমধ্যে ঐ নারী ছিনতাইকারী সাদিয়ার কানের স্বর্ণের দুটি দুল আর ফারজানার স্কুলের ব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেয়। আর শিশু দুটিকে নামিয়ে দেয় তাদের বিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। শিশু দুটির কান্না দেখে জড়ো হয় শত শত লোক। খবর পেয়ে সাদিয়া আর ফারজানার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাদেরকে বাড়ি নিয়ে যায়।
হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও এলাকার চাইল্ড কেয়ার এন্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পূর্ব রাজারগাঁও মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া ও একই এলাকার মিজি বাড়ির মাসুদ মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার এই ঘটনার শিকার হয়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও এলাকায়।
ক্ষুদে এই দুই শিক্ষার্থী কান্না জড়িত কণ্ঠে জানায়, বিদ্যালয় ছুটির শেষে বাড়ি ফেরার আগ মুহূর্তে এক নারী তাদেরকে খালার বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে লোভ দেখায় । এর পরেই ঐ নারীর কথায় বিশ্বাস করে তারা দুজন তার সাথে একটি গাড়িতে উঠে। পথিমধ্যে ঐ নারী সাদিয়ার কানে থাকা স্বর্ণের দুটি দুল ও ফারজানার স্কুল ব্যাগটি নিয়ে তাদেরকে বাকিলা বাজারের পাশের একটি সড়কের পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
বাকিলা বাজার এলাকার স্থানীয়রা এই শিশু দুটির কান্না দেখে তাদেরকে আদর করে বিষয়টি জানতে চাইলে শিশু দুটি তাদের সকল কথা খুলে বলে। এর পরেই তাদেরকে বাকিলা আল-আমিন শিশু একাডেমীতে রেখে তাদের বিদ্যালয়ে খবর পাঠানো হয়। প্রায় আধা ঘন্টা পরে শিশু দুটির বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ/পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি/ভ্যান চালকসহ অভিভাবকরা এসে তাদেরকে সনাক্ত করে বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি নিয়ে যান।
এদিকে ছোট শিশুদের সাথে স্বর্ণের গহনা দেয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি বলে উপস্থিত সবাই মন্তব্য করেন। তাদের আজ আরো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে উপস্থিত সকলে গুরুত্বের সাথে বলেন।
এ বিষয়ে সাদিয়া ও ফারজানার বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জীবন কৃঞ্চ জানান, খবর পেয়ে ঐ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নিয়ে বাকিলা থেকে ওদেরকে নিয়ে এসেছি।