মতলব উত্তর সংবাদদাতা :মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া গ্রামে বখাটে যুবকদের গণধর্ষনের শিকার হয় সাতবাড়িয়া গ্রামের হাজেরা আক্তার (২৩)। জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার হাজেরা আক্তার তার আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি উপজেলা ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়ায় আসার পথে ইন্দুরিয়া গ্রামের ৩ বখাটে ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৩), ইব্রাহিম (২৯) ও আরিফ হোসেন (২৭) হাজেরাকে জোড় করে ধরে নাজমুল করিমের বাড়ি সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ৩ জনে মিলে ধর্ষন করে। পরে হাজেরা তার অভিভাবকদের জানালে আস্তে আস্তে এ কথা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এ নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরের দিন ১০ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ইন্দুরিয়া দাশের আড়ং এ স্থানীয় গ্রাম্য শালিশ বসে। উক্ত গ্রাম্য শালিশ বৈঠকে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজল, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম, আরেক ইউপি সদস্য নাজমুল হোসেন, শালিশী আবুল হোসেন, আঃ বারেকসহ অন্যান্য শালিশীগণ উভয় পক্ষের কথা শোনে ধর্ষনকারী আলমগীর, ইব্রাহিম ও আরিফকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের এই অপকর্মের জন্য ১ শ’ টি করে ৩ জনকে ৩ শ’ জুতা পেটা ও ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু শালিশীগণ ১ শ’ করে জুতা পেটা মওকুফ করে দেন। এখনো পর্যন্ত জরিমানার টাকা ধর্ষিতা হাজেরা আক্তার বুঝে পায়নি বলেও জানা গেছে। এনিয়ে এলাকার সর্বস্তরের জনগন বলছে নারীর ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা। এলাকার সচেতন মহল মনে করছে একজন নারীর ইজ্জত হরণ করে বখাটেরা টাকা দিয়ে সহজেই মুক্তি পাচ্ছে। তাই এ ধরনের অপকর্মের বিচার গ্রাম্য শালিশীতে না করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এ ব্যপারে সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমি লোকদের মুখে কানা গোসা শুনেছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে কেউ এ বিষয়টি অবহিত করেনি।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।