কবির হোসেন মিজি
পরিবেশ বান্ধব গাছের নার্সারী ব্যবসার প্রতি দিন দিনই আগ্রহী হচ্ছেন নার্সারী ব্যবসায়ীরা। কয়েক বছর পূর্বেও নার্সারী ব্যবসার প্রতি মানুষজন তেমন উৎসাহী বা আগ্রহী ছিলেন না। এখন কিন্তু ভিন্ন। পরিবেশ রক্ষার্থে নার্সারী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ক্রয় করে নিচ্ছেন মানুষজন। চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নার্সারী ব্যবসার প্রতিষ্ঠান । এক সময় চাঁদপুর শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে নার্সারী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ ও কাঠ তৈরির গাছ পাইকারি এনে তা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতেন। ওই সময়ে ঈদগা মাঠের বাইরেও রাস্তার উপর গাছের সারিবদ্ধ লাইন লক্ষ্য করা যেতো। এখন সেই নার্সারী ব্যবসা আরো উন্নত হয়ে বিভিন্ন ফল গাছের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ফুল গাছ। এইসব নার্সারী ব্যবসায় গাছ ক্রয় করার ক্রেতা সাধারণও বেড়েছে।
সম্প্রতি চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাবস্থ সাবেক গণফোরাম কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিল্লাল নার্সারী নামে একটি নার্সারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বেচা বিক্রি নিয়ে কথা হয় নার্সারীর মালিক বিল্লাল মিয়ার সাথে। তিনি জানান, এই নার্সারীতে আম, জাম, লিচু, ডালিম, মন্ডফল, বেলসহ সব ধরণের ফল গাছের চারা পাওয়া যায়। এছাড়াও বাসা বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছের চারা। এখানে গোলাপ, বেলি, ডালিয়া, কেকরাজ, গেন্ধা, রজনীগন্ধা, কচমচ, রক্ত গোলাপসহ সব ধরণের ফুল গাছের চারা বিক্রি হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছের এক একটি চারা সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয় এবং ফল গাছের চারা বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৩০/৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর এই গাছের চারাগুলো দেশের বগুড়া, বরিশাল, স্বরূপকাঠি, বেনাপোল, যশোর এবং রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারী ক্রয় করে এনে সেগুলো নার্সারীতে রেখে পরিচর্যা করে বিক্রি করা হয়।
প্রেসক্লাব সড়কের এই নার্সারীসহ শহরের অন্যান্য নার্সারী ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে নার্সারীগুলোতে গাছের চারা ও ফুলের চারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তারাও দিন দিন উৎসাহী হচ্ছেন এই নার্সারী ব্যবসার প্রতি।