মিজান লিটন-
গতকাল দুপুরে পুরাণবাজারে দু’ দলের সংঘর্ষে নিহত আরজু ঢালীর রাজনৈতিক পরিচয় কী এটা নিয়ে গতকাল শহরময় আলোচনা ছিলো। শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার তেমন কিছু না জানা গেলেও এটুকু জানা গেছে যে, সে বিএনপি সমর্থিত এক গরিব অসহায় পরিবারের সন্তান। রিক্সা চালক বাবা মকবুল ঢালীর বক্তব্য অনুযায়ী আরজুর বয়স ১৪। পড়াশোনা করাতে পারেননি বলে স্থানীয় একটি সুতার ফ্যাক্টরীতে মাঝে মধ্যে দিন মজুরি খাটতো। বাবা বিএনপি সমর্থন করতেন বলে আরজু কখনো বিএনপির মিছিলে, কখনো যুবদলের মিছিলে আবার কখনো ছাত্রদলের মিছিলে অংশ নিতো। বলতে গেলে ‘জিয়া’ ‘খালেদা’ ডাক শুনলেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো।
গতকাল সে ডাকেই সে ঘর থেকে বের হয়েছিলো। কিশোর আরজু জানতো না হয়তো এটাই তার জীবনের শেষ ডাক। বুলেট কিংবা ইটের আঘাতে আজই তার প্রাণপাখি উড়ে যাবে। তাহলে হয়তো সে ঘর থেকেই বের হতো না। যাই হোক কিশোর আরজু মরে ওপারে চলে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হলো তার লাশ নিয়ে রাজনীতি। বয়স তার ১৪ হলেও কারো কাছে সে যুবদল নেতা, আবার কারো কাছে ছাত্রদলের কর্মী। কিন্তু এর শেষ কোথায়? রাজনীতির মাঠ গরমের জন্য আজ মৃত আরজুর যে মূল্য সত্যিই কি শেষ পর্যন্ত তার এ মূল্য থাকবে? নাকি স্বার্থ পুরালে অন্যদের মতো আরজুকেও একদিন সবাই ভুলে যাবে। হয়তো তাই হবে। অতীতও তা-ই বলে। শুধু রয়ে যাবে আরজুর বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর চোখের জল।