শাহরিয়ার খান কৌশিক,
ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ আবে এ জমজম থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্যাগ টাকা ও মূল্যবান জিনিস চুরি করে উধাও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আবে এ জমজম লঞ্চ চাঁদপুর আসার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টায় এই চুরির ঘটনাটি ঘটে।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার ব্যাগ চুরির ঘটনাটি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ভূমিকা পালন না করায় যাত্রীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায়।
তবে এই চুরির ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে ফেরদৌস(১৪)নামে এক কিশোরকে আটক করে যাত্রীরা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে কিশোরের নাম পরিচয় ও তার অবস্থা জানার পর যাচাই-বাছাই করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ির বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বর্তমানে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে চাকরি করছেন।
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে আবে জমজম লঞ্চ রওনা হয়।
নিচতলা দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ারে বসে তার ব্যাগটি পাশে রাখে। তিনি কিছুক্ষণ পর চেয়ার থেকে উঠে টয়লেটে গিয়ে এসে দেখে তার ব্যাগটি নেই।
এসময় তার পাশের সিটে বসে থাকা ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা কিশোর ফেরদৌসকে সন্দেহজনকভাবে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কিশোর ফেরদৌসের কথাবার্তা এলোমেলো হাওয়ায় চুরির ঘটনাটি সংঘটিত করেছে বলে অনেকে ধারণা করেন।
লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় থাকা এই প্রতিবেদক ঘটনা জানতে পেরে কিশোর ফেরদৌসকে ডেকে এনে তার নাম পরিচয় জানেন। এসময় তার মা ফিরোজা বেগম সাথে মুঠোফোনে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ ফেরদৌস মানসিক রোগে ভুগছে। ১ সপ্তাহ পূর্বে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তার সন্ধান মিলেনি। এই ঘটনা জানতে পেরে পরে কিশোর ফেরদৌসকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই চুরির ঘটনাটি জানার পরেও আব এ জমজম লঞ্চ এর কর্মকর্তারা কোন ধরনের সহযোগিতা না করায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি লঞ্চে সিসি ক্যামেরা ও আনসার থাকার কথা থাকলেও আব এ জমজম লঞ্চে তার কোনোটিই নেই। প্রতিদিনই এই আব এ জমজম লঞ্চে যাত্রীদের ব্যাগ, মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিস চুরি হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
এই ঘটনায় লঞ্চ সুপারভাইজার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের মালামাল চুরি হলে আমাদের কি করার আছে। তবে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেই এর সুরহা পাবেন। লঞ্চের কর্তৃপক্ষরা এই চুরির ঘটনায় কোন ধরনের দায়ভার বহন করেনা ।