স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুরে নৌ-যান শ্রমিদের ১০দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের ডাকা নৌ-ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অধিকাংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ এ রুটে চলাচল করেছে। বুধবার সকালে ধর্মঘট উপেক্ষা করে ৮টি লঞ্চ চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।এ চলাচলকে কেন্দ্র করে লঞ্চ কর্মচারীদের সাথে ধর্মঘট ডাকা নৌ-যান শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া গেছে ।এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মারাত্বক আহতরা হচেছ, নৌ- যান শ্রমিক সংগ্রাম ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রিয় যুগ্ন আহবায়ক -মাস্টার হারুন অর রশিদ ,মাস্টার আবুল কাশেম, মাস্টার হাছান, সদস্য মাস্টার দুলাল,ড্রাইভার জাহিদ,সদস্য মাস্টার রোশন। লঞ্চটি ছেড়ে ঢাকা চলে যাওয়া আহত স্টাফদের নাম সংগ্রহ করা সম্বব হয়ণি।
এ সংঘর্ষের সময় পুলিশ ধর্মঘট ডাকা শ্রমিকদের ধাওয়া ও লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ত্রনে আনে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম ঐক্য পরিষদ চাঁদপুরের আহবায়ক বিপ্লব সরকার ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো:শহীদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়,নৌ-যান শ্রমিকদের ধর্মঘটের প্রথম দিন সুন্দর ভাবে পালিত হলেও কিছ ুকিছু শ্রমিক মালিকদের সাথে গোপনে হাত মিলিয়ে ১ম দিন ২/১টি লঞ্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে এবং চাঁদপুর থেকে রাতে ময়ুর-২ও ময়ুর-৭ ছেড়ে যায়। গতকাল বুধবার ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলেও চাঁদপুর থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় সোনার তরী , সাড়ে ১০টায় এমভি- জলতরঙ্গ,সাড়ে১১টায় প্রিন্স অব রাসেল-৩,সোয়া ১২টায় এমভি-রফরফ,দুপুর ১টায় আবে জমজম,২টায় মেঘনা রানীও বিকেল ৩টা ৪০মিনিটে এমভি- মিতালী-৪ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এমভি মিতালী ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে ধর্মঘট ডাকা শ্রমিকরা লঞ্চটিতে হামলা চালায় ভাংচুরের জন্য। এ সময় মিতালির স্টাফদের সাথে ধর্মঘট ডাকা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ উভয়কে ধাওয়া ও লাঠি চার্জ করে। এ সময় কম পক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ত্রনে আনে। পুলিশ জানায়, লঞ্চে হামলা চালানোর নেতৃত্বে ছিলেনমাস্টার হারুন-অর রশিদ,মাস্টার রোশনও বিপ্লব সরকার। অপর দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে সোনার তরী -২,এমভি-লামিয়া,ত্রিনা,ইমাম হাছান-২,ময়ুর-২,ময়ুর-৭,