আশিক বিন রহিম ॥
ছেলের পাপের শাস্থি জন্য ৫০ বছরের বৃদ্ধ মাকে জেলহাজতে আসতে হলো। শুধু তাই নয় বড় ভাইয়ের পাপের ভার কাদে নিয়ে কলেজ পড়–য়া ছোট ভাইকে ও জেল হাজতে পেরন করেছে থানা পুলিশ। এমনি চাঞ্চল্যকর গটন ঘটনায় গতকাল চাঁদপুর মডেল থানা এললাকায় কোলাহলের সৃষ্টি হয়েছে। এর এমন ঘটনার মূলে রয়েছে রাণী বেগম(২৮) নামের এক গৃহবধ পরকিয়া প্রেম। গটনার বিবরণ ও মামলার সুত্র জনাযায় প্রায় ৭ বছর পূর্বে শহরের পুরান বাজার দোকানঘর এলাকার মমিন মিজি নামে এক প্রবাসি স্বামির সাথে পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে হয় একই এলকার মৃত মোকলেছুর রহমানের মেয়ে রাণী আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই প্রবাসি স্বামী মমিনের সম্পর্কে মামাত ভাই শহরের পাল পাড়া এলাকার কাজী আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে রুমনের সাথে পারিবারিক সম্পর্কের রেশ ধরে রুমন রানীর শ্বশুর বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। এতে করে এক পর্যয়ে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে পরকিয় প্রেম। সেই পরকিয়া প্রেমের করানেই এক সময় আবেগর চিকন ও ভংগুর সাঁেকা মাড়িয়ে রাণী মমিনের সংসারকে বিদায় জানিয়ে এবং ৫ বছরের একটি কন্য সন্তান ফেলে সকলের অগোচরে নতুন জীবনের সন্ধানে রুমনের হাত ধরে চলে আসে। পরে তার প্রবাসি স্বামির মমিন মিজি পরিবার চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ প্রেমিক যুগ কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় উভয় পরিবারের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে রানি তার পরকিয়া প্রেমিক রুমনের সাথেই সংসার করার সম্মতি জনালে মমিনের সাথে তার ছাড়ছাড়ি হয়ে যায়। রানি নতুন করে সংসার বাধেঁ রুমনের সাথে। রুমন রাণীকে নিয়ে প্রথমে শহরের প্রফেসার পাড়া ও পরে পালপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকে। রুমন প্রতিদিন নেশা করার জন্য রাণীকে অর্থের জন্য চাঁপ দিতে থাকে। এবং প্রতিদিন প্রচন্ড মারধর করতো। রাণী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই তার কপালে জুটতো চর, থাপ্পর আর লাঠির আঘাত। নতুন স্বামর নির্জাতন সয্য না করতে রাণি রুমন ও তার বৃদ্ধা মা সাজেদা বেগম এবং কলেজ পড়–য়া ছোট ভাই বাবুকে আসামি করে চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি টের পেয়ে রুমন পালিয়ে যায়। আদলতে নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ রুমনকে না পেয়ে রুমনের মা মাজেদা (৫০) এবং ছোট ভাই বাবুকে ( ২২) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বন্ধুর আটকের খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসে তার প্রায় শতাধিত সহপাঠি। এ বিষয়ে আটক ছোট ভাই বাবুর সহপাঠি ও এলাবাসি বলেন, রাণীকে বিয়ের পর থেকে রুমন আলাদা বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকে। কিন্তু রুমনের মা ও ছোট ভাইয়ের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই তাহলে তাদের জরানোর কি প্রয়োজন ছিলো। তবে এবিষয়ে রাণি কাছে জনতে চাইলে রাণি জনায় মমিনের সম্পর্কে মামাত ভাই রুমন পারিবারিক সম্পর্কের রেশ ধরে রুমন রানীর শ্বশুর বাড়ীতে আসতো। এক সময় রুমন তাকে নানা ধরনের কু প্রস্তাব দিতে থাকে। পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রানীর সাথে নানা ধরনের ছবি তোলে। সেইসব ছবিকে কেন্দ্র করে কাল হয়ে দাড়ায় রাণীর সাজানো সংসারে। এক পর্যায়ে রুমন রাণীকে মমিনের সংসার ত্যাগ করে তার সাথে চিরতরে চলে আসতে বলে। যদি না আসে তাহলে তার সাথে তোলা ছবিকে ফেসবুকে পোষ্ট করে দিবে। এবং রাণীর শিশু সন্তান ¯েœহাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এতে করে বাদ্ধ হয়ে রাণি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রুমনের হত ধরে বেরিয়ে আসে। এক পর্যায়ে রালি কন্না জরিত কন্ঠে জানায় একটি ভুলের আমাকে এতো বড় সাস্থি ভোগ করতে হচ্ছে। এ সময় রাণী তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তার জীবনকে ধংশ করে দেওয়ার জন্য সে রুমনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে।