চাঁদপুর নিউজ রিপোট
চাঁদপুর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির এলাকা পরিচালক নির্বাচন নিয়ে তামাশা শুরু হয়েছে। প্রতি ৩ বছর অন্তর নির্বাচন আসলেই এ তামাশা শুরু হয়। সমিতির নির্বাচনী আইন শুধুমাত্র তাদের অফিস প্রক্রিয়াতেই থাকে। সাধারণ গ্রাহকরা এর কিছুই জানে না। কী ভাবে ভোটার হতে হবে, কী যোগ্যতায় একজন প্রার্থী পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারবে তার যথার্থ ও ব্যাপক প্রচার সমিতির পক্ষ থেকে করা হয় না। ফলে তা নিয়ে প্রতিটি নির্বাচনেই গ্রাহক/প্রার্থীদের সাথে সমিতির কর্মকর্তাদের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ সুযোগের অপেক্ষায় থাকে সম্পৃক্ত পুরাতন এলাকার পরিচালকরা। সমিতির এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে সবসময়ই গোপনে ভোটার তালিকা তৈরি, খসড়া তালিকা কোনো গ্রাহক বিধি মোতাবেক চাইলে তাকে না দেয়ার মাধ্যমে হঠাৎ একদিন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফলে পরিচালক পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
চাঁদপুর-০৯ নির্বাচনী এলাকাটি রামপুর, শাহমাহমুদপুর, মৈশাদী, আশিকাটি, কল্যাণপুর, তরপুরচন্ডী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভার একাংশ নিয়ে গঠিত। পুরো এলাকায় ভোট কেন্দ্র মাত্র ১টি। সেটি পুরো এলাকার একদম পূর্ব পাশে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। বর্তমান পরিচালক মকসুদ হোসেনের বাড়ির কাছে কেন্দ্রটি। যদি পুরো এলাকার মাঝামাঝি স্থানে করা হতো তবে ১০ হাজার ৭শ’ ৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে স্বস্তি পেতেন। তা ছাড়া বর্তমান ভোট কেন্দ্রটি একেবারেই একটি কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত। সেখানে যাতায়াতেরও সুব্যবস্থা নেই। ফলে সার্বিক বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে গতকাল ৪ নভেম্বর একজন গ্রাহক বাধ্য হয়েই আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপকসহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চাঁদপুর অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক সহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা পরিচালক নির্বাচন করার জন্য আলাদা নির্বাচন কমিশন আছে, তারাই এসব দেখেন। আদালতে মামলা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। মামলার কাগজ হাতে পেলে বুঝতে পারবো কী কারণে হয়েছে।