প্রতিনিধি
পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির আবহমান কালের কৃষ্টি সংস্কৃতি। তার কৃষ্ট সংস্কৃতির মধ্যে নভাবে যুক্ত হয়েছে পান্তা ইলিশ। তবে বহু বছর পূর্বে বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে এই পান্তা ইলিশের কোনো বালাই ছিলো না। আগেরকার মানুষ বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের দিন বাড়িতে বাড়িতে উন্নত মানের ভালো ভালো খাবার তৈরি করা হতো। রেওয়াজ ছিলো বছরের প্রথম দিন যদি ভালো খাবার খাওয়া যায় তাহলে বাকী দিনগুলোতে এমনিভাবেই খাবে।
১৯৯০ সালের দিকে বাংলা নববর্ষের দিন পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে এই পান্তা ইলিশের প্রচলন হয় বলে চাঁদপুর শহর ইলিশের রাজধানী বলে খ্যাত হলেও গত কয়েক বছর ধরে এই ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে। বাংলা নববর্ষে সে সংগঠনই পান্তা ইলিশের আয়োজন করে তারা আর পান্তার দেখা পেলেও ইলিশের দেখা পাচ্ছে না। যার ফলে ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় অন্য মাছের মাধ্যমে।
এ বছরও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চাঁদপুরে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে। বর্তমান বাজারে তেমন একটা ইলিশ মাছ নেই বললেই চলে। ছিটেফোটা যাও হাট বাজারে ২/৪টি করে মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ পাওয়া যায় তার দাম আকাশ ছোঁয়া। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার একেবারে বাইরে বললেই চলে। বর্তমান বাজারে কেজি পরিমাণ ইলিশ প্রতি মন ৮০ হাজার টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ২ হাজার টাকা। ৭ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিমন ৫৪ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩ থেকে ১৪শ টাকা। ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের প্রতিমন ইলিশের মূল্য ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা দরে এখনো বিক্রি করা হচ্ছে। আর এসব ইলিশের অধিকাংশ মাছ আসে দক্ষিণাঞ্চল ও হাতিয়া থেকে। চাঁদপুরের জেলেরা অভয়াশ্রম চলার কারণে ইলিশ আহরণ করতে পারছেনা। যার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যৎসামান্য ইলিশ মাছ নানা কৌশল অবলম্বন করে আনা হয়। ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর মাছ ঘাটে অভয়াশ্রমের কারণে এখন ইলিশের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।