মলদ্বারে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় যেমন : পাইলস, এনাল ফিশার, ফিস্টুলা, ক্যান্সার ইত্যাদি। এসব রোগে মলদ্বারে ব্যথা হয়, রক্ত যায়, চুলকানি হয় ফুলে যায় এবং কখনও কখনও পূঁজ পড়ে। এ জাতীয় প্রতিটি রোগের বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা আছে। বেশিরভাগ রোগ শুরুতে চিকিৎসকের কাছে আসলে ওষুধ পত্রের মাধ্যমে ভালো হওয়া সম্ভব। দেখতে পাই তথাকথিত চিকিৎসক নামধারী কিছু ব্যক্তি নিজেকে পাইলস বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাবি করে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা ব্যতিরেকে চিকিৎসা করে আসছেন। তারা শহরের নামকরা বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনের কাছে চেম্বার সাজিয়ে যে জাতীয় অপচিকিৎসা করছেন তার হাজার হাজার ভুক্তভোগী প্রতিদিন প্রতারণার শিকার হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে প্রতিকারের জন্য হাজির হন। তারা এ চিকিৎসার জন্য নাইট্রিক এসিড জাতীয় বিষাক্ত কেমিক্যাল ইনজেকশন ও পাউডার মলদ্বারে ব্যবহার করেন। ফলে মলদ্বারের মাংশপেশিতে পচন ধরে এবং তীব্র ব্যথা-যন্ত্রণা ও দুর্গন্ধ হয়। রোগীদের প্রথম প্রলুব্ধ করা হয় বিনা অপারেশনে চিকিৎসা হবে বলে। এরপর যখন বিষাক্ত কেমিক্যাল প্রয়োগ করার পর তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণা শুরু হয় তখন উপশমের জন্য অতিরিক্ত মাত্রার বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ইনজেকশন দিতে থাকেন। অনেক রোগী বলেন, আমি কয়েকদিন ব্যথায় অনবরত চিৎকার করেছি এবং জোরে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে মলদ্বারে বাতাস দিয়েছি ব্যথা লাঘবের জন্য। বিশ বছর ধরে আমি এরূপ অপচিকিৎসার অসংখ্য রোগী দেখেছি এবং এখনও প্রতিদিন দেখছি।
সম্প্রতি এরূপ অপচিকিৎসার শিকার একজন মহিলা রোগী এসেছেন।তিনি পাইলস এর ব্যাথায় বসতে পারেন না,দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বল্লেন,চাঁদপুর শহরের বাসষ্টেশান এর জনৈক ডাক্তারের চিকিৎসায় তার এ অবস্থা হয়েছেে । ডাক্তার রোগীকে বলেছে ৭দিনে পাইলস রোগ ভালো করে দিবেন,তাই তার চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কিন্তু রোগ ভালোতো দুরের কথা এখন তার মলদ্বার সবমময় বের হয়ে থাকে তাই বসতে পারে না,দিন রাত ২৪ ঘন্টা যন্ত্রনা করে।আপনি কিভাবে এ চিকিৎসা নিতে গেলেন,রোগী বলেন ডিস লাইনে দিন রাত ২৪ ঘন্টা এ চিকিসকের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ভেবে ছিলাম উনি মনে হয় অনেক বড় ডাক্তার তা না হলে এভাবে গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসা করতো না,এ চিকিৎসা নিতে গিছে এখন আমি মৃত্যুর পথ যাত্রী।
সম্প্রতি চাঁদপুরের জনৈক লিটন সরকার পাইলস চিকিৎসক এ ধরনের অভিযোগে এখন কারাগারে আছেন।এসব প্রতারক চিকিৎসকরা রোগীদেরকে ৩ দিন ৭ দিন এ রোগ ভালো করার গ্যারান্টি দিয়ে হাজার হাজার টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নিচ্ছে।
রোগীদের বুঝা উচিত সাধারন সর্দ্দি-জ্বর ভালো হতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে সেখানে এ জটিল রোগ কিভাবে ৩ দিনে ভালো করবে?