প্রতিনিধি
চাঁদপুরে পীরের মাজারে খুঁড়ে পাওয়া একটি পাথরের মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারে চলছে বিরোধ। হয়েছে বহু দেনদরবারও। কিন্তু সমাধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ডিম্বাকৃতির সেই পাথর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ। দুই দিন ধরে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বেশ গলদঘর্ম। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাফ কথা, ‘পাথরটি প্রকৃত মালিকের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, ১০-১২ দিন আগে জেলার হাজীগঞ্জের ওলিপুর গ্রামের স্বপন-রাবেয়া দম্পতির মেয়ে পান্না আক্তার স্থানীয় পীরের মাজারে একটি পাথর খুঁজে পায়। কুড়িয়ে পাওয়া পাথরটি একটি অলৌকিক বস্তু- এমনটি বিশ্বাস করে তার মা-বাবা এটি তাদের বসতঘরে সংরক্ষণ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা পাথরের কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও দেখতে পান বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সাত দিন আগে তাঁদের ঘর থেকে পাথরটি চুরি হয়ে যায়। দায়ী করা হয় পান্নার ফুফাতো বোন তানিয়াকে। স্বপন-রাবেয়া দম্পতির দাবি, তাঁদের ভাগ্নি বেড়াতে এসে মহামূল্যমান পাথরটি চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলী আক্কাস মেম্বারসহ গণ্যমান্যরা চেষ্টা বহু করেন। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি।
আলী আক্কাস মেম্বার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি দুই পরিবারের মধ্যে একটা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যর্থ হবার পর তাদের পরামর্শ দিয়েছি পুলিশকে জানানোর জন্য। পরে গত তিন নভেম্বর পান্নার বাবা স্বপন বাদী হয়ে তানিয়ার মা-বাবাসহ পাঁচজনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।’ অভিযোগের পর গত বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল চৌধুরী গোপন স্থান থেকে আলোচিত সেই পাথরটি উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরী জানান, পাথরটি যতই মূল্যবান হোক, তার প্রকৃত মালিকের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আদৌ এর কোনো গুণাগুণ আছে কি না, এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পাথরটি ফরিদগঞ্জ থানার হেফাজতে রয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, সাদা রঙের ডিম্বাকৃতির ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি পাথর নিয়ে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। একজন উপপরিদর্শককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।