কবির হোসেন মিজি
১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের ৩য় দিনে অবরোধ শেষ হলেও রাতে বিএনপি-জামায়াতের পিকেটারদের হামলায় ২ জন গুরুতর আহত এবং রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করা হয়েছে। আহতরা হলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর গ্রামের আবদুর রহমানের পুত্র মোঃ ইউসুফ (৪০) এবং ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়ন বড়গাঁও গ্রামের বশির উলস্নাহ মিয়াজীর মেয়ের সুফিয়া বেগম (৪৮)। গতকাল ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যার পর মোঃ ইউসুফ মিয়া সিএনজি স্কুটারযোগে বাড়ি যাচ্ছিলো। তিনি ঘোষের হাট মিয়ার বাজার এলাকার কাছাকাছি পৌঁছলে হঠাৎ পিকেটারদের কবলে পড়েন। পিকেটার মোটা লাঠি দিয়ে গাড়িতে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে গাড়ির পেছনে বসা যাত্রী মোঃ ইউসুফ মিয়ার চোখে আঘাত লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন।
অপরদিকে গত ১৫ নভেম্বর পলস্নী বিদু্যৎ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস সানজিদা ও তার ছোট বোন ফাতেমার মৃত্যুর সংবাদ তার মাকে জানানো হয়নি। সে মৃত্যুর সংবাদ যখন গতকাল তাদের মাকে জানানো হয় তখন তিনি পাগলের মতো ছুটাছুটি করেন মেয়েদের কবর দেখতে। অবরোধের কারণে পরিবারের লোকজন বলেছিলো আজ তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবে মেয়েদের কবর দেখাতে। পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়েই সিএনজি স্কুটার ভাড়া করে রওয়ানা দেন সুবিদপুরের দিকে। সিএনজি স্কুটারটি চান্দ্রাবাজার ব্রিজের পশ্চিমে পৌঁছলে ক’জন পিকেটার তাদের গাড়ি আটকাতে চেষ্টা করে। তখন গাড়িতে থাকা আহত সুফিয়া বেগমের ছোট বোনের জামাই তাদেরকে বলেন, গাড়িতে রোগী আছে আমাদেরকে যেতে দিন। কিন্তু পিকেটাররা তাদের কোনো কথা না শুনে গাড়িতে বেশ কটি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ একটি পাথর এসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের খালা সুফিয়া বেগমের নাকে এসে পড়লে তার নাকের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সুফিয়া বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও মোঃ ইউসুফ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে রেফার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স করে বাংলাবাজার থেকে রোগী নিয়ে আসার পথে ফরিদগঞ্জ ভাটিয়ালপুর চৌরাসত্দায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সে পিকেটাররা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে করে অ্যাম্বুলেন্সটির গস্নাসসহ অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষতি হয়।