ষ্টাফ রিপোটার:
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার করিম হাওলাদার বাড়িতে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরের দল বিল্ডিংয়ের বেনটিলেটার ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকা,৫ভরি স্বর্নলংকার, একটি মোবাইল,১টি চার্জার লাইট ও ঘরে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত শনিবার গভীর রাতে পুরান বাজার বাকালিপট্রি করিম হাওলাদার বাড়ির মৃত করিম হাওলাদারের মেয়ে লাভলি বেগমের ঘরে। এঘটনার পর গতকাল রবিবার ঐ এলাকার চিহ্নিত বহু চুরির মামলার আসামী,১টি পেট্রোল বোমার মামলা,চোর ও বোম নাছির নামে পরিচিত মোঃ নাছির প্রধানীয়াকে চুরি হওয়া মালামাল বিক্রি করার খবর জানতে পেরে লাভলী বেগমকে জানায়। এলাকাবাসী আরও জানায়,এই চুরি চক্রের সদস্য মনির হাওলাদার এ চুরির সাথে রয়েছে। এ খবর পাওয়ার পর মালামাল চুরি যাওয়া লাভলী বেগম এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মনিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে । এ সময় মনির এ চুরির ঘটনাটির কথা স্বীকার করে এবং চোর চক্রের অপর সদস্য বোম নাছিরের কথা বলে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রবিবার বিকেলে বোম নাছিরকে আটক করে ঘটনার সম্পর্কে জিজ্ঞাবাদ করলে,সে মালামাল চুরি করার ব্যাপারটি স্বীকার করে। তবে নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার, মালামাল পরে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে। এ সময় এলাকাবাসী তাকে তাৎক্ষনিক নগদ টাকা স্বর্ণালংকার মালামাল দেওয়ার জন্য বলে। সে না দেওয়ায় উত্তেজিত জনতা তাকে গণ পিটুনি দেয়। গণপিটুনী দেওয়ার পর আহত বোম নাছির ও মনিরকে এলাকাবাসী পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহ্ঙ্গাীর আলমের কাছে সোপর্দ করে । পুলিশ আহত বোম নাছির ও চোর মনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পুরান বাজার বাকালী পট্টি এলাকার ইয়াবা,পেন্সিডিল,হিরোয়িন, গাজা ও বিভিন্ন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী চক্রের গডফাদাররা বোম নাছির ও চোর মনিরের পক্ষে তাদেরকে এলাকায় যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেন এবং বিভিন্ন অপকর্ম ও অসামাজিক কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকেন তারা ঘটনাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সরেজমিনে পুরান বাজার বাকালী পট্টি ও রিফোজী কলোনী এলাকায় গিয়ে শত শত মানুষের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। বোম নাছির যে একজন চিহ্নিত চোর,মাদক সেবনকারী বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী তা প্রশাসন অবগত আছে । তাকে বহুবার পুলিশ আটক করে কারাগারে পাঠালেও সে জামিনে এসে পুনরায় এসব অপকর্ম করে এলাকাবাসীকে অতিস্ট করে তুলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লাভলী বেগম তার কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্ণলংকার ও মালামাল চুরি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সে প্রশাসনের সহযোগিতায় তার মালামাল পাওয়ার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন। এ ঘটনার ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনার আলোকে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, নাছির প্রধানীয়া ও মনির হাওলাদার ২ জন’ই চিহ্নিত চোর । তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান।