চাঁদপুরে নিখোঁজ হওয়ার ৭দিন পর মঙ্গলবার শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মো. আল আমিন সজলের (২১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজলের বন্ধু হাবিবুর রহমান নিশানকে (২৩) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মো. ওজি উল্লাহর ছেলে নিহত সজল পরিবারের সঙ্গে শহরের বিপনীবাগ এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার খলিশাডুলি গ্রামে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর আশিকাটি ইউনিয়নের উত্তর রালপুর গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির বাগান থেকে সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুব মোর্শেদ জানান, ৩১ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে সজল আর ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১ নভেম্বর ওজি উল্লাহ সজলকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সজলের বন্ধু নিশানকে সোমবার আটক করে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকা থেকে সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আটক নিশান জানান, তিনি, সজল ও আরেক বন্ধু সুমন ওই স্থানে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ফেনসিডিল ও ফ্যানারগান সিরাপ মিক্স করে খান। ওই সিরাপ খাওয়ার পর সজল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর একপর্যায়ে সুমন সজলের গলায় দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। এসময় তিনি বাধা দিতে গেলে সুমন তাকেও হত্যার হুমকি দেন।
পরে ওই বাগানে একটি গর্ত করে সজলকে মাটি চাপা দিয়ে জায়গাটি কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
তবে কেন সুমন তাকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি নিশান।
আটক নিশান রালদিয়া মামার বাড়িতে তার মাকে নিয়ে বসবাস করেন। তিনি ঢাকায় একটি এমব্রয়ডারি দোকানে কাজ করেন বলে জানা গেছে।